খবরবাড়ি ডেস্কঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানার উন্নয়ন কল্পে বিভিন্ন স্থানে ইসলামিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের মাহফিল আয়োজনের বিপরীতে ব্যয়ের তুলনায় প্রত্যাশিত পরিমাণ অনুদান পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এসব আয়োজনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই পাড়া বা মহল্লায় একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রায়ই আলাদা আলাদা ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুসন্ধানে আরও পাওয়া যায়, একই এলাকার একই ব্যক্তিদের এসব আলাদা অনুষ্ঠানে বারবার দান করতে বাধ্য হতে হয়। এতে দাতাদের ওপর আর্থিক চাপ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি আয়োজকদের প্রত্যাশিত অনুদানও পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
সচেতন মহলের দাবি একই গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় অবস্থিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলেই যৌথভাবে একটি ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করতে পারে। এতে ব্যয় কমবে, আয়োজনের মানও বাড়বে এবং প্রাপ্ত অনুদান যৌথভাবে সমানভাবে বণ্টন করলে প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নেও সহায়ক হবে।
তবে তারা আরও মনে করিয়ে দেন, যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল শুধুমাত্র ধর্মীয় নসিহত ও ইসলামিক জ্ঞান প্রচারের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়, তাহলে সেটিকে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাহফিলের সঙ্গে এক করার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ও ধরন আলাদা হওয়ায় এসব আয়োজনকে ভিন্নভাবে দেখা উচিত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.