খবরবাড়ি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় পানি সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৫ পদে মোট ১৪ জন কর্মচারী নিয়োগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ তুলেছেন দু’জন প্রার্থী। তাঁরা এ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পরীক্ষা বোর্ড সদস্যদের প্রত্যাহারের দাবী করেছেন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ২টায় গোবিন্দগঞ্জ সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রার্থী জাকিউল হক সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে জাকিউল হক সরকার জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক করতোয়া সংবাদপত্রে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে তিনি প্লান্ট অপারেটর পদে নির্ভূলভাবে আবেদন করেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন তিনিসহ মোট ৪৫ জন প্রার্থীর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। নির্ভূলভাবে আবেদন করার পরও জাকিউল হকের আবেদন বাতিল হলে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন দূর্ণীতি-ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ড দ্বারা নিয়োগ প্রার্থী চূড়ান্ত করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় লোক দেখানো পরীক্ষা আয়োজন করার উদ্দেশ্যে প্রবেশপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এরফলে তার মত অনেক যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষা থেকে বাদ পড়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত পরীক্ষা বাতিল করে পুনঃনিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ আবেদন যাচাই বাছাই পূর্বক পরীক্ষা গ্রহণের দাবী জানান।
তিনি আরো জানান, আমি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সকল শর্ত মেনে নির্ভূলভাবে আবেদন করেছি। আমি একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার শর্তেও চাকুরীর নিয়োগ পরীা থেকে বাদ পড়েছি। এই পদে চাকুরী করার মত আমার যথেষ্ট দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সনদ থাকা সত্ত্বেও আমাকে তারা বাদ দিয়েছে।
অপর প্রার্থী মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি স্কুল জীবন থেকে প্লাম্বারের কাজ করে আসছি। পরবর্তীতে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে মালেশিয়ায় গিয়ে ৭ বছর কাজ করেছি। আমি বিদেশী কোম্পানির অভিজ্ঞতা সনদসহ আবেদন করার পরও বাদ পড়েছি। সুনির্দিষ্ট কি কারনে আমি পরীক্ষা থেকে বাদ পড়লাম তা স্পষ্ট নয়।
দু’জন প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও পৌর প্রশাসক সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নিয়োগ বোর্ডের সদস্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের আবাসিক প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই শেষে আবেদনের শর্ত না মানায় তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।