খন্দকার রফিক, গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে আবদুল ওয়াহেদ নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এছাড়া তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন এলাকায় । তৈরি করেছেন নিজস্ব সংঘবদ্ধ বাহিনী। সম্প্রতি গিয়াসউদ্দিন নামের এক ভুক্তভোগি আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবদুল ওয়াহেদ মন্ডল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের দুবলাগাড়ি গ্রামের মৃত আব্বাস আলী মন্ডলের ছেলে। রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ৬নং ওয়ার্ড সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ১৯৪০ সালে গোবিন্দগন্জ উপজেলার ৫ শতক জমির উপর নেছাম উদ্দিন প্রকাশ দুবলাগাড়ি জামে মসজিদ ওয়াকফ এস্টেট নামের একটি মসজিদ গড়ে উঠে। পরে স্থানীয় ছিয়ামন বিবি নামের এক ব্যক্তি ওই মসজিদের নামে ২২ শতক জমি দান করেন। সেই জমি আবদুল ওয়াহেদ মন্ডল তার লোকজন দিয়ে বেআইনিভাবে দখল করে। এনিয়ে স্থানীয়রা বাদা দিলে তাদের মারধর করে। ঘটনার পর মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জামে মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটের অন্য জমিগুলো দখলের অপচেষ্টা করছেন ওয়াগহদ। তিনি ওই মসজিদের মোতাওয়াল্লীর কাজে নানা ভাবে বাধা সৃষ্টি করেছেন।
সম্প্রতি উপজেলা দুবলাগাড়ি গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের পৈত্রিক ১৬ শতাংশ ও আজিবরের পৈত্রিক ১৮ শতাংশ জমি জোরপূবর্ক দখল করে নেয় আবদুল ওয়াহেদ ও তার লোকজন। বাধা দিতে গিয়ে তাদেরও মারপিট করে ওয়াহেদ মেম্বার। এঘটনায় ওয়াহেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
জমি দখল ছাড়াও ওয়াহেদ মন্ডলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, একাধিক বিয়ে ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে সমাজে অনৈতিক ও অস্থির পরিবেশের জন্ম দিচ্ছে। স্থানীয়রা তাদের কিছু বললে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মুসল্লি বলেন, এলাকার অনেক মানুষের জমি দখল করেছে ওয়াহেদ মেম্বার। এ পযন্ত চারটি বিয়ে করেছে। প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কথা বললে, পরে আমাদের মারধর করতে পারে।
এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, অন্যায় ভাবে মসজিদ বা কোনো ব্যক্তির জমি দখল করার কারো সুযোগ নেই। অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হবে।