দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বজায় থাকলে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে বলে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিমত প্রকাশ করছেন।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিন দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারের প্রতিটি দোকানেই আগের তুলনায় দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। এতে পেঁয়াজের দাম কমতি দিকে রয়েছে। গত কয়েকদিনে যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল, সেই একই পেঁয়াজ বর্তমানে কমে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে ক্রেতা বাসেদ আলী জানান, পেঁয়াজের দাম গত কয়েকদিন ধরেই ওঠানামা করছে। কখনও বাড়ছে, আবার কখনও কমে যাচ্ছে। যে পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে কিনে ছিলাম, হঠাৎ করে দাম বেড়ে গিয়ে ১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। সরকারি ভাবে আমদানির অনুমতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায়, আবার কেজিতে ২০ টাকা পেঁয়াজের দাম কমে গেছে।
এই ক্রেতা বলেন, আমরা চাই পেঁয়াজের দাম যেনো গ্রাহকের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা জানান, দেশীয় পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে, হঠাৎ সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গিয়েছিল।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন আগে যে পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছিলেন, সেটাই ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। গতকাল শুক্রবার সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি ঘোষনা দেওয়ায় পেঁয়াজের আবার দাম কমতে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, সরকারিভাবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় কয়েকজন আমদানিকারক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির এলসি খুলেছেন। আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র- বাসস
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.