1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা পলাশবাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান সরকারের বিদায়ী সংবর্ধনা গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা সংক্রান্ত শিক্ষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা গাইবান্ধায় উদীচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত সুন্দরগঞ্জে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া যুবকের মৃত্যু সাদুল্লাপুরে ট্রাক্টরের চাপায় বৃদ্ধা নিহত দলিল লেখকরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সাদুল্লাপুরে ‘লেবু মাওলানা’ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ১‌টি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১৬ গ্রামের মানুষ পীরগঞ্জে জমি দখলের উদ্দেশ্যে গাছ কাটার অভিযোগ

১‌টি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১৬ গ্রামের মানুষ

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

এম.এ.শাহীন, তারাগঞ্জ,রংপুরঃ

রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ও কুর্শা ইউনিয়নের মা‌ঝ দি‌য়ে ব‌য়ে চলা যমুনেশ্বরী নদীর চাকলা বা নারায়ঞ্জন ঘাটে একুটি স্থায়ী সেতুর অভা‌বে চরম দুর্ভোগে প‌ড়ে‌ছে দুই ইউ‌নিয়নের ১৬টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

বর্ষা মৌসুমে এ এলাকার গ্রামবাসীরা ছোট নৌকা বা কলাগাছের ভেলায় করে পারাপার হয় নদী। শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে গেলেও হাঁটু কাদা, বালু ও পানির ভেতর হেঁটে পারাপার হ‌তে হয়। ফ‌লে প্রতি‌নিয়ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, নারী ও বৃদ্ধ সবাইকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়।

প্রতিবছর বর্ষার আগে গ্রামবাসী নিজেদের উদ্যোগে চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নদী পারাপার হন। কিন্তু বন্যা বা পানির স্রোতে কয়েক মাস না যেতেই সেটি ভেঙে পড়ে। তখন আবারও ঝুঁকি নিয়ে কলাগাছের ভেলায় বা ছোট ডিঙি নৌকায় পারাপার হতে হয়।

কুর্শা ইউনিয়নের ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাহেবুল ইসলাম বলেন, এখানে একটা সেতু না থাকায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় স্কুলপড়ুয়া ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের। বর্ষায় নদী ভরাট থাকলে তারা স্কুলে যেতে পারে না। কখনো নৌকা না পেলে কলাগাছের ভেলায় করেই পার হতে হয়।

রহিমপুর চাকলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, নদীর ওপারে জেলে পাড়া, জুলুবর, নারায়ঞ্জন গ্রামের আমাদের অনেক শিক্ষার্থী থাকে। বর্ষার সময় নৌকা চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়, তখন তারা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। এতে তাদের পড়াশোনায় ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
সেতুর অভাবে স্থানীয় কৃষকরাও পড়ছেন বিপাকে। তাদের উৎপাদিত ধান, পাট, সবজি ও অন্যান্য ফসল বাজারে নিতে হয় এই পথ দিয়েই। সেতু না থাকায় যাতায়াতে সময় ও খরচ দুটোই বেড়ে যায়, পাশাপাশি ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের জেলেপাড়া ঘাটের ৬০ বছর বয়সী আব্দুস সামাদ বলেন, এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বর্ষায় নৌকা ছাড়া উপায় থাকে না, কিন্তু নৌকা সবসময় পাওয়া যায় না। আমরা বহুবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে সেতুর দাবি জানিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, এই নদীর দুই পাড়ে রয়েছে স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার, মসজিদ, মাদরাসা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা, শিক্ষা ও কর্মজীবনের প্রয়োজনে পারাপার হয়। কিন্তু সেতু না থাকায় চরম কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী বা গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালে নিতে হলে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও বিপজ্জনক।
এলাকাবাসীর দাবি, যমুনেশ্বরী নদীর ওপর যদি একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, তাহলে দুই ইউনিয়নের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এর ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ফিরে আসবে স্বস্তি ও গতি।

 

 

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft