ফজলার রহমান,পলাশবাড়ী,গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে এক হতবাক করা নৃশংস ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে হাত-মুখ বেঁধে নির্জন হলুদের জমিতে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় এক ব্যক্তি। রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ভুক্তভোগী নারী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, আর অভিযুক্ত আইয়ূব আলী (৫০) পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত সন্তানের জননী ওই বৃদ্ধা প্রতিদিনের মতো দুপুরে গরু-ছাগল চরাতে মাঠে গিয়েছিলেন। সুযোগ বুঝে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে দুই সন্তানের জনক আইয়ূব আলী তার হাত-মুখ বেঁধে পাশের ফসলি জমিতে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে এলাকাবাসী ও স্বজনেরা বৃদ্ধাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সাদুল্লাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
অভিযুক্ত ব্যক্তি আইয়ূব আলী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নারী নির্যাতন ও কু-কর্মের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পূর্বে অনুরূপ ঘটনায় অর্থদণ্ড দিয়ে রক্ষা পেয়েছিল বলেও জানা গেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “ধর্ষণের পর আইয়ূব আলী বাড়ি ফিরে গোসল সেরে বাজারে বসে ছিল। পরে জানতে পারে বৃদ্ধা বেঁচে আছেন ও নাম প্রকাশ করেছেন—তখনই সে পালিয়ে যায়।”
ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ স্বপন কুমার বলেন,
“ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার জানান,
“দোষীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
ঘটনার পর গ্রামজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দা ছড়িয়ে পড়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন—
“একজন বৃদ্ধা নারীও আজ নিরাপদ নন, যা সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের চরম নিদর্শন। অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”