এম এ শাহীন, রংপুরঃ
রংপুরের তারাগঞ্জে সরকারি ওষুধ চুরির ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হামদুল্লাহর ভূমিকা নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে তিনি অভিযুক্ত ফার্মাসিস্টকে বাঁচাতে কৌশলে প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার পুরাতন হাসপাতালসংলগ্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ফার্মাসিস্ট তানভীর ইকতিয়ার বিপুল পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক, গ্যাসের ওষুধ ও ভিটামিনজাতীয় সরকারি ট্যাবলেট পাচার করছিলেন। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা তানভীর ও তার সহযোগী সজীবকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়— জনতার হাতে ধরা পড়ার পরও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হামদুল্লাহ ফার্মাসিস্ট তানভীরের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাকে থানা থেকে “সারিয়ে নিয়ে আসেন” বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে তার নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ডা. হামদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, “ফার্মাসিস্ট সরাসরি জড়িত কিনা তা নিশ্চিত নই। দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ডা. হামদুল্লাহ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি তানভীরকে রক্ষার জন্য প্রভাব খাটিয়েছেন এবং সাধারণ অপরাধী সজীবের দিকেই দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলছেন, “একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছ থেকে ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলা আশা করা হয়। কিন্তু এখানে তিনি নিজেই অভিযুক্তকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়েছেন, যা প্রশাসনিক নৈতিকতার পরিপন্থী।
ফলে সরকারি ওষুধ চুরির ঘটনাটি এখন আর কেবল ফার্মাসিস্ট তানভীরের অপরাধে সীমাবদ্ধ নেই বরং এতে সরকারি কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও ডা. হামদুল্লাহর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।