সাকিব আহসান,পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওঃ
পীরগঞ্জ-বোচাগঞ্জ সড়ক ব্যক্তিগত কাজে ভাড়া দিয়েছেন পৌরশহরের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, মুন্সিপাড়ানিবাসী দরবগাজী মাদ্রাসার সুপার বাবুল ইসলাম। তিনি জনপ্রতিষ্ঠিত রাস্তার উপর নিজের ভবনের সামনে বাস স্ট্যান্ড চালু করে দিয়েছেন দৈনিক টাকার বিনিময়ে; এর ফলাফল স্থায়ী যানজট, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও জনস্বার্থের ওপরে ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রাধান্য।
মুন্সিপাড়া থেকে বোচাগঞ্জগামী বাসগুলো এখানে ঘন্টা-খানিক দাঁড়ায়; যাত্রী উঠাবার নামে বাসগুলো মূল সড়ক দখল করে রাখায় পূর্ব-চৌরাস্তা থেকে আসা যানবাহন অদৃশ্য হয়ে পড়ে—সংযোগ পথগুলো ভেসে ওঠে এক অরক্ষিত ঝুঁকিতে। এলাকায় বসবাসকারী গোলাম রব্বানীর জানান, “এই জায়গায় তিনটি রাস্তা মিলিত হয়, এখানে বাস থেমে গেলে পাশ থেকে আসা যানকেই দেখা যায় না; এটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।”
দরবগাজী মাদরাসার সুপার গতানুগতিক প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই, প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ টাকা চাঁদা নিয়ে বাস অপারেটরদের সাথে উঠানামা করছেন।এটি শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, এটি এক ধরণের পথ-অধিকার অধিগ্রহণ, যা স্থানীয় জনগণের চলাচল ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে। ফোনে মন্তব্য চাওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।এরকম গোপনীয়তার মানে একেবারেই পরিষ্কার ; সিদ্ধান্তটি কোনো সমন্বিত পরিকল্পনার ফল নয়, বরং ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক স্বার্থে নেওয়া।
প্রশাসনের ভূমিকা এখানে নির্ণায়ক। জরুরি পদক্ষেপ হওয়া উচিত।অন্যথায় ছোটাছুটির দায়ে বড় জীবনের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাবে। যদি অনুমতি না থাকে তাহলে বাস দাঁড়ানোর কার্যক্রম বন্ধ করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিকল্প স্থানে নিয়মতান্ত্রিক বাসস্ট্যান্ড নির্ধারণ ও সাইনবোর্ডিং, ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং প্রয়োজনীয় চিহ্নস্থাপন করা। তৃতীয়ত, স্থানীয় কমিউনিটি ও ট্রাফিক পুলিশকে নিয়ে নিয়মিত মোবাইল টহল ও সচেতনতা অভিযান চালানো জরুরি।
সড়ক কোনো ব্যক্তির সম্পতি নয়। এটি সবার গন্তব্যের পথ। ব্যক্তিগত আর্থিক লাভের জন্য জনগণের নিরাপত্তা ও চলাচলের অধিকার বিকিয়ে দেওয়া কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসন যেন দ্রুত, দৃঢ় এবং স্বচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করে,নইলে এই সড়কেই আগামীকাল জীবন সংহারের কারণ হয়ে উঠতে পারে।