মোঃফেরদাউছ মিয়া,পলাশবাড়ীঃ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী, দলের কেন্দ্রীয় সংগঠক ও গাইবান্ধা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ নাজমুল হাসান সোহাগ বলেছেন,
“আমি চাই পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলাকে দুর্নীতিমুক্ত, স্বনির্ভর ও মানবিক জনপদে রূপান্তর করতে। রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতা নয়, এটি মানুষের সেবার দায়িত্ব।”
সম্প্রতি তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও মতবিনিময়কালে স্থানীয় জনগণের উদ্দেশে এ সব কথা বলেন। তরুণ ও শিক্ষিত এই নেতা ইতোমধ্যেই মানবিক কর্মকাণ্ড এবং উন্নয়ন চিন্তার রাজনীতির মাধ্যমে স্থানীয় জনমনে আস্থা অর্জন করেছেন।
শিক্ষা ও ব্যক্তিগত পরিচয়ঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের সন্তান মোঃ নাজমুল হাসান সোহাগ। তাঁর পিতা মোঃ আব্দুর রহমান এবং মাতা ছোমেলা রহমান।
তিনি দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষণা করছেন এবং পাশাপাশি এলএলবি’র ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী।
পেশা ও সামাজিক ভূমিকাঃ
শিক্ষিত তরুণ এই নেতা পেশায় একজন ব্যবসায়ী, পাশাপাশি একজন লেখক ও সমাজ ভাবনা ভিত্তিক গ্রন্থকার হিসেবে পরিচিত।
তাঁর রাজনৈতিক দর্শন —
> “মানুষের সেবাই প্রকৃত রাজনীতি।”
তিনি সততা, মানবিকতা ও সাহসিকতার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের রাজনীতি করতে চান।
ছাত্র ও নাগরিক আন্দোলনে ভূমিকাঃ
জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত বেশ কয়েকটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হাসান সোহাগ। এর মধ্যে রয়েছে—
>২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপদেষ্টা
>ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় নেতা
>নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরামর্শক
>২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরামর্শক
>তরুণ সমাজের অধিকার ও ন্যায়ের দাবিতে তিনি সবসময় অগ্রভাগে থেকেছেন।
সংগঠনিক সম্পৃক্ততাঃ
>সদস্য, গাইবান্ধা জেলা ক্রীড়া এডহক কমিটি।
>জেলা নির্বাহী সদস্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (গাইবান্ধা)।
>নির্বাহী সদস্য, ঢাকাস্থ “ভালোবাসি গাইবান্ধা” সমিতি।
>শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকাস্থ সাদুল্লাপুর উপজেলা সমিতি।
উন্নয়নমূলক অবদানঃ
তাঁর প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টায় সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ীতে বাস্তবায়িত হয়েছে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প, যার মধ্যে রয়েছে—
>১২টিরও বেশি সড়ক পাকা করণ প্রকল্প।
>সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ।
>ধাপেরহাট উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র উন্নয়ন বাজেট পাস।
>মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান ও কুরআন শরীফ বিতরণ।
>শিক্ষা ও কৃষি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
>ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও সামাজিক ভাতা বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্যঃ
গাইবান্ধা-৩ আসনে নির্বাচিত হলে তিনি জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ীকে একটি আধুনিক, উন্নত ও মানবিক জনপদে রূপান্তর করতে চান।
তাঁর ঘোষিত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে—
>শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন।
>শিল্পনগরী ও ইপিজেড স্থাপন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
>সাদুল্লাপুরকে পৌরসভায় উন্নীত করা।
>রংপুর গ্যাস সংযোগ প্রকল্পে গাইবান্ধার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
>ধাপেরহাট পুলিশ ফাঁড়িকে থানায় উন্নীত করা।
>নারী-পুরুষের সমঅধিকার ও শিক্ষায় সমতা প্রতিষ্ঠা করা।
নাজমুল হাসান সোহাগ আরো বলেন,“মানবসেবাই আমার রাজনীতি। আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণ, উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে।”গাইবান্ধা-৩ আসনকে দুর্নীতিমুক্ত, শিক্ষিত, স্বনির্ভর ও মানবিক জনপদে রূপান্তর করা।