1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা পলাশবাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান সরকারের বিদায়ী সংবর্ধনা গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা সংক্রান্ত শিক্ষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা গাইবান্ধায় উদীচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত সুন্দরগঞ্জে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া যুবকের মৃত্যু সাদুল্লাপুরে ট্রাক্টরের চাপায় বৃদ্ধা নিহত দলিল লেখকরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সাদুল্লাপুরে ‘লেবু মাওলানা’ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ১‌টি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১৬ গ্রামের মানুষ পীরগঞ্জে জমি দখলের উদ্দেশ্যে গাছ কাটার অভিযোগ

পলাশবাড়ীতে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দিরের সভাপতি হরিদাস চন্দ্রের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪৭৫ বার পড়া হয়েছে

খবরবাড়ি ডেস্কঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দিরের সভাপতি হরিদাস চন্দ্র আবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আলোচনায় এসেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ অক্টোবর তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে তিনি এমন একটি মন্তব্য করেন যা অনেকের কাছে ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।
যা নিয়ে এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

উক্ত পোস্টে হরিদাস চন্দ্র লেখেন, “বাংলাদেশ সবার দেশ, এখানে একজন হিন্দুর যদি কিছু হয় তাহলে আমরা বসে থাকবো না, আমাদের সবটুকু দিয়েই প্রতিহত করবো।” তিনি আরও বলেন, “ইসকনের দোহাই দিয়েও কোনো হিন্দুকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে না, তা হলে তার ফল ভালো হবে না।”

পোস্টটিতে দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারির একটি ছবিও ব্যবহার করেন তিনি। পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে ছবিটি সরিয়ে ফেললেও বিষয়টি ইতোমধ্যে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, স্বাধীনতার পর থেকে পলাশবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় জাতি বা ধর্মীয় বিভেদের কোনো বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। অথচ সম্প্রতি হরিদাস চন্দ্রের এমন বক্তব্যে ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বয়োজ্যেষ্ঠ সনাতনী হিন্দু ভদ্রলোক বলেন, “তিনি মন্দির নির্মাণসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য অনেক ভালো কাজ করছেন, এটা প্রশংসনীয়। তবে মাঝে মধ্যে তার কিছু মন্তব্যে আমরা বিব্রত হই। এসব কথা আমাদের সমাজে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।”

এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, “হরিদাস চন্দ্র যদি সত্যিই সমাজ ও ধর্মীয় উন্নয়নে কাজ করতে চান, তবে তাকে কথাবার্তায় আরও সংযত ও দায়িত্বশীল হতে হবে। অহেতুক বেফাঁস মন্তব্য সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।”

তারা আরও মনে করেন, হরিদাস চন্দ্র হয়তো নিজের অবস্থান জোরালো করার চেষ্টায় এমন বক্তব্য দিচ্ছেন, অথবা অন্য কারো প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, তার মানসিক চাপ বা বিভ্রান্তি থেকেও এমন আচরণ আসতে পারে।

স্থানীয়দের প্রত্যাশা, পলাশবাড়ীর দীর্ঘদিনের ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য বজায় রাখতে সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত, যাতে এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট না হয়।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft