খরববাড়ি ডেস্কঃ একতা-প্রচেষ্টা-সফলতা; ঘন্টা বাজবেনা-কাশ চলবেনা, শিক্ষক কেন রাজপথে-তুমি কে আমি কে শিক্ষক-শিক্ষক, রক্ত লাগলে-রক্ত নে। উদীপ্ত শ্লোগানের ভাষায় মানবিক আর্তনাদে শিক্ষক-কর্মচারীদের ডাকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নবম দিনের মত গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর বিশাল মানববন্ধনস্থল প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল।
শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুত ২০% বাড়ি ভাড়া, ১৫’শ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব ভাতা প্রদানের প্রজ্ঞাপণ জারির দাবীতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের আহবানে বাড়ীভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা পৃথক তিন যৌক্তিক দাবী বাস্তবায়নে দেড় ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পলাশবাড়ী পৌরশহরের স্থানীয় চারমাথা মোড়ের ওভারপাসের নিচে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এতে অংশ নেয়। মানববন্ধনে শিক্ষকদের সাথে একত্বতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারী অধ্যক্ষ (অব.) মাও. নজরুল ইসলাম লেবু।
এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের আহবায়ক পলাশবাড়ী আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোস্তফা’র সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, মেরীরহাট ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) বেলালউদ্দিন সরকার, পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ্ মো. মাহবুবুর রহমান মিল্টন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তালেব মাস্টার ও গণঅধিকার পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি শামসুজ্জামান সিদ্দিকী মামুনসহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমাদের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সরকার প্রণীত নিয়মিত সুযোগ-সুবিধা থেকেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের ন্যায্য দাবীগুলো দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে।
তারা আরও বলেন, শিক্ষক সমাজ কোনো ভিক্ষা নয় তারা তাদের ন্যায্য অধিকার চায়। শিক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অতীব প্রয়োজন। শিক্ষ-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং দাবী না মানা হলে ভবিষ্যতে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারির কথা ব্যক্ত করেন।
সমেবেত শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে একটি বিশাল র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।