খবরবাড়ি ডেস্কঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরের নয়াপাড়া গ্রামে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন ওই গ্রামের শ্রী হরিদাস চন্দ্র তরনীদাস। তার এই উদ্যোগে একদিকে প্রশংসা মিললেও অন্যদিকে নানা সমালোচনার ঝড়ও বইছে।
হরিদাস চন্দ্র প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিলে অনেকেই উৎসাহ প্রকাশ করেন। তবে সমালোচকরা প্রশ্ন তোলেন—এত বিপুল অর্থের উৎস কোথায়? এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক শুরু হয়।
এ সময় সমালোচকরা অতীতের ঘটনাও সামনে নিয়ে আসেন। ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমকে ঘিরে একটি মামলায় হরিদাস চন্দ্র র্যাবের মাধ্যমে গ্রেফতার হয়ে জেলে যান। সে সময়কার টেলিভিশন ফুটেজ ও অনলাইন নিউজ গুলো বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে নামে-বেনামে আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে হরিদাস চন্দ্র তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন সময় কিছু মন্তব্য করেন, যা অনেকের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে—
“যে কোনো মুহূর্তে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হতে পারে।”
“মন্দির না করে যদি পতিতালয় করতাম, তাহলে যারা আমাকে হিংসা করে তারাই আমাকে বস,” করে বলতো।
“এছাড়াও সময় সময়ে তার কিছু অনুপযোগী ও বেফাঁস মন্তব্য জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।”
এই ধরনের বক্তব্য উপজেলায় হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি করেছে।
তবে সচেতন মহল মনে করেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য হরিদাস চন্দ্রর মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।
তারা আরো বলেন, “ভালো কাজ করলে সমালোচনা হবেই। কারণ সমালোচনা ছাড়া সফলতা সম্পূর্ণ হয় না। সমালোচনা সকল শ্রেণীর মানুষের উপর আসতে পারে, কিন্তু এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। বরং সমালোচনাকে শক্তিতে রূপান্তর করে এগিয়ে চলাই জয়ের আসল রহস্য।”
তবে তার উচিত আরও ধৈর্যশীল, শান্ত, বিনয়ী ও কৌশলী হওয়া। তাদের মতে, তিনি যে মহান কাজ হাতে নিয়েছেন, সেটির সঙ্গে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া উসকানিমূলক বক্তব্য একেবারেই বেমানান।এ ধরনের পোস্ট তার ব্যক্তিগত ইমেজ এবং মহৎ উদ্যোগ উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে।
“যদিও হরিদাস চন্দ্র তার ফেসবুক হতে বিতর্কিত পোস্ট গুলো সরিয়ে ফেলেছেন।”