1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা চার কৃষকের ৩ একর জমির ধান কেটে দিলেন লালমনিরহাট কৃষকদল ‎ পীরগঞ্জে হানি ট্র্যাপের ঘূর্ণাবর্তে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার; অন্যদিকে রাসলীলা উপভোগে উন্মত্ত সহকারি শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়! পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

‎ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত ‎লালমনিরহাটে একই আঙিনায় শতবর্ষী মসজিদ-মন্দির

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে
জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না,লালমনিরহাট,রংপুরঃ

‎ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এমনই অসাম্প্রদায়িক চেতনার উজ্জ্বল নিদর্শন লালমনিরহাট শহরের কালীবাড়ী এলাকায় একই আঙিনায় শতবর্ষী পুরান বাজার জামে মসজিদ ও কালীবাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দির। প্রায় দুই শতাব্দী ধরে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আসছেন নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

‎ইতিহাস বলছে, ১৮৩৬ সালে এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় কালীবাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দির। পরে ১৯০০ সালে একই প্রাঙ্গণে মুসলিম ব্যবসায়ীরা নামাজ আদায়ের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করেন, যা পরবর্তীতে ‘পুরান বাজার জামে মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়। তখন থেকেই শুরু হয় ভিন্ন ধর্মের দুই উপাসনালয়ের সহাবস্থান।

‎একই উঠানে দুই ধর্মের উপাসনালয় থাকার পরও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি কখনো। বরং এখানকার মানুষ নিয়মতান্ত্রিকভাবে শালীনতা বজায় রেখে মসজিদ-মন্দিরের সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। আজান শুরু হলে মন্দিরের মাইক, ঢাক-ঢোলসহ সব বাদ্যযন্ত্র বন্ধ থাকে। নামাজ শেষে আবার পূজা-অর্চনার কার্যক্রম শুরু হয়।

‎মসজিদের এক মুসল্লি বলেন, “আমরা দেখেছি এখানে কখনো ধর্ম নিয়ে কোনো হানাহানি হয়নি। বরং পূজা বা নামাজের সময় একে অপরকে সহযোগিতা করে। তাই দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ এখানে আসেন ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ দেখতে।”

‎কেন্দ্রীয় কালীবাড়ী মন্দিরের সভাপতি ও পুরোহিত শংকর চক্রবর্তী বলেন, “শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে এখানে কোনো বিরোধ হয়নি। পূজা-মসজিদের কার্যক্রম আগে থেকেই মসজিদ ও মন্দির কমিটি বসে নির্ধারণ করে। ফলে সব অনুষ্ঠানই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।”

‎পুরান বাজার জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন জানান, “আমরা মন্দির কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করি, তারাও আমাদের সহযোগিতা করেন। কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই যুগ যুগ ধরে চলছে এ সম্প্রীতির বন্ধন। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।”

‎এমন সম্প্রীতির স্থান দেখতে প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী এখানে আসেন। কয়েকজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতও ইতিমধ্যে এই ঐতিহাসিক মসজিদ-মন্দির ঘুরে গেছেন।

‎লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, “একই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির থাকা সত্যিই বিরল দৃষ্টান্ত। এটি লালমনিরহাটবাসীর অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের উজ্জ্বল প্রমাণ।”

‎বর্তমানে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কালীবাড়ী মন্দিরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। অপরদিকে পাশের পুরান বাজার জামে মসজিদে নিয়মিত নামাজ-ইবাদত চলছে। ধর্মীয় সম্প্রীতির এই মিলনস্থল লালমনিরহাটের মানুষকে যেমন গর্বিত করছে, তেমনি গোটা দেশেও ছড়িয়ে দিচ্ছে সহাবস্থানের এক অনন্য বার্তা।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft