সাকিব আহসান,পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতর আহত ৩ জনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি এখনো থমথমে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির দলীয়-অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ‘সুপ্তাবস্থা’ কিঞ্চিৎ প্রতীয়মান। খুব সম্ভবত, এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়,উপরন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়টিকে ঘৃতাহুতি দেয় । একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রের ব্যবহারে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে যায়।
অপর একটি সূত্র অনুযায়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত নারী ঘটিত জটিলতাকে কেন্দ্র করে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে যাতে নতুন করে কোনো সংঘর্ষ না ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পীরগঞ্জ থানার জনৈক উপ-পরিদর্শক জানান, “দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-পরবর্তী পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে।”
এ ঘটনায় পীরগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষও আতঙ্কে রয়েছে যে, সংঘর্ষ আরও বিস্তৃত হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলা সদর ও আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে, তবে মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।