খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালুয়া বাজারে ব্যবসায়ী রোকনুজ্জামান ওরফে রোকন সরদার হত্যা মামলায় রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম এই আদেশ দেন। এ নিয়ে একই মামলায় এই বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান দ্বিতীয় দফায় কারাগারে গেলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার হাফিজুর রহমান বলেন, আজ ওই মামলার চার্জশিট শুনানির দিন নির্ধারিত থাকায় চেয়ারম্যান মোসাব্বিরসহ নামীয় ১৬ আসামীর মধ্যে ১৪ জন আদালতে হাজির হন। শুনানি শেষে বিচারক আসামী সুলভ মিয়া খাজা, শাহআলম, লিটন ও চেয়ারম্যান মোসাব্বিরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরআগে চেয়ারম্যান মোসাব্বির ২০২১ সালে উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বতীকালীন জামিন পান। তবে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ তাকে প্রথম দফায় কারাগারে পাঠান।
উল্লেখ্য: ২০২১ সালের ১৭ জুন গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়া বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী রোকন সরদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আশিকুজ্জামান ও জিল্লুর রহমান আহত হন। নিহত রোকন সরদার ওই ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের আবদুর রউফ সরদারের ছেলে।
পরে নিহতের ভাই রোমান সরদার বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মোসাব্বিরসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পাশাপাশি চেয়ারম্যান মোসাব্বিরের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে গোপালপুরের জাবালে রহমত জামে মসজিদ ও নূরে রহমত জামে মসজিদের নামে বরাদ্দ মোট ১ লাখ ১২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং চেয়ারম্যানের কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দেখা দেয়।
পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার দূর্ণীতির খবর প্রকাশ হলে তিনি আক্রোশ বশতঃ ঢাকাপোস্টের তৎকালীন সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি রিপন আকন্দের নামে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন।