খবরবাড়ি ডেস্কঃ তৃণমূলে সংগঠন সংহত করি, গণতন্ত্র, সুশাসন ও সমতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শক্তিশালী করি। এই শ্লোগানে ১-২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাংগঠনিক মাস পালন উপলক্ষে তরুণীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশের নারী আন্দোলন ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিকতু প্রসাদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সম্পা দেব, তরুণী সদস্য তন্দ্রীমা তুলি, রেশমা খাতুন, মার্জিয়া ইসলাম তৈষী ও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন কেয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নারী আন্দোলন একটি দীর্ঘ ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যার অন্যতম প্রধান সংগঠন হলো বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ১৯৭০ সালে সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নারীর ক্ষমতায়ন, বৈষম্য দূরীকরণ, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারী ও কন্যার প্রতি সকল ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ ও মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে। সুফিয়া কামাল এর নেতৃত্বে ১৯৫৮ সালের মার্শাল ল’ আন্দোলন, ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র শতবর্ষ উদযাপন আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সাহসীকতার সাথে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ৭০ এর দশকে জেলায় জেলায় গড়ে তোলা হয় বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলনের সমতা,উন্নয়ন ও শান্তির সামগ্রিক কর্মসূচি বাংলাদেশের নারী আন্দোলনে মহিলা পরিষদ এর ন্যায্যতা ও সমতার আন্দোলনকে বেগবান করে।