খবরবাড়ি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় প্রস্তাবিত সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের স্থান নির্বাচন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উপজেলা সদরের জনবহুল এলাকা বাদ দিয়ে নদীর তীরবর্তী কাতলামারী গ্রামে কলেজটি স্থাপনের প্রস্তাব ওঠায় এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণের সুযোগ নিয়ে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা গোপনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উপজেলা হেডকোয়ার্টার কালিরবাজারে প্রস্তাবিত সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনের দাবীতে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা। উপজেলা পরিষদ গেটে মুল সড়কে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের আয়োজনে সকাল ১১টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের কয়েক সহস্রাধিক জনসাধারণ অংশ নেয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এসএম ইব্রাহিম আলী, আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান, জামায়াত নেতা মাও. আবুল খায়ের, ঠিকাদার রাশেদ খান মিলন ও আব্দুল কাদের ভূঁইয়া, উদাখালী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাবিল উদ্দিন, এরেন্ডাবাড়ি ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, ছাত্র প্রতিনিধি জাহিদ হাসান জীবন, জেলা এনসিপি নেতা মাসুদুর রহমান আরিফ, অ্যাড. আশিকুর রহমান মুন, উপজেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার মিয়া, বাসদ নেতা রিবতী বর্মন, ছাত্র খোরশেদ আলম, সাংবাদিক শাকিল আহমেদ, পারভেজ হাসান রুবেল, মোনায়েম হোসেন মীম, তৈয়ব আলী ও উদাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রায়হান ইসলাম রাহুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার সারাদেশে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু ফুলছড়িতে এই প্রতিষ্ঠানের জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের মতামত উপেক্ষা করে উপজেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী কাতলামারী গ্রামকে বেছে নিয়েছেন। এটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো সহজ নয়। স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এমন দুর্গম এলাকায় কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হলে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাদের মতে, কলেজটি উপজেলা সদর বা কোনো জনবহুল এলাকায় স্থাপিত হলে সব ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা সহজে যাতায়াত করতে পারবে। এতে শিক্ষার্থী বাড়বে এবং পর্যাপ্ত আবাসনের কারণে দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবে। অন্যদিকে, প্রস্তাবিত কাতলামারী গ্রামে কলেজটি স্থাপন করা হলে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শিক্ষার্থী সংকট দেখা দিতে পারে। একই কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরাও সেখানে থাকতে অনাগ্রহী হতে পারেন।