সাকিব আহসান,পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। রাত পেরোলেই ষষ্ঠী, শুরু হবে বাঙালির সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসব। পূজামণ্ডপগুলোতে ইতোমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কারিগরদের হাতের শেষ তুলির আঁচড়ে রঙিন হয়ে উঠেছে দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের প্রতিমা। মণ্ডপগুলোতে আলোকসজ্জা, শোভা বর্ধন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রস্তুতিও চলছে।
এবছর ৪৭ টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপসহ ১২০ টি পূজামন্ডপ আয়োজিত ও সজ্জিত হয়েছে। নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে প্রায় প্রতিটি মণ্ডপেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পূজারী, কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা। সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারগুলোতে চলছে নতুন পোশাক কেনাকাটা ও অতিথি আপ্যায়নের তোড়জোড়। দেবীর আগমনী সুর ভেসে বেড়াচ্ছে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত। ভক্তদের হৃদয়ে দোলা দিচ্ছে মায়ের আগমনী গান—‘এসো মা দুর্গা, এসো মা’।
পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এবছর উপজেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব আনন্দঘন পরিবেশে উদ্যাপনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
ষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী এই পূজা শুধু ধর্মীয় আচারেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি হয়ে ওঠে সর্বজনীন মিলনমেলা। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন একত্রিত হয়ে উপভোগ করেন পূজামণ্ডপের সাজসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভক্তিমূলক সংগীত। সব বয়সী মানুষের মধ্যে বিরাজ করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
পীরগঞ্জের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, দেবী দুর্গা অশুভ শক্তির বিনাশ ও সত্য-সুন্দরের প্রতিষ্ঠা ঘটান। তাই পূজার প্রতিটি ক্ষণে তাঁরা মায়ের আশীর্বাদ কামনা করেন। ষষ্ঠীর আগমনী প্রহরে পীরগঞ্জজুড়ে এখন একটাই সুর—‘মা আসছেন, আনন্দ আসছে’।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.