খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রহমানের নানা অনিয়ম-দুর্ণীতির বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে পলাশবাড়ী প্রেস কাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক চতুর ও ধুরন্ধর স্বভাবের কমান্ডার আব্দুর রহমান আওয়ামী ফ্যাস্টিটের দোসর। তিনি তার দায়িত্বপালন কালীন ফ্যাসিস্ট পতিত আওয়ামী সরকারের সময় সিমাহীন নানা অন্যায়-দুর্ণীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি বাধাহীন অপ্রতিরোধ্য অনিয়ম দূর্ণীতি ও ক্ষমতার চরম অপব্যহার করে পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কার্যালয়ের মূল্যবান ৪০টি প্লাস্টিক চেয়ার, সরকারি বরাদ্দের একটি পারটেক্সের বড় টেবিল, একটি কাঠের টেবিল, ১টি স্টিল আলমারীসহ পুরনো কার্যালয়ের বেশকিছু মালসরঞ্জাম তার সাদুল্লাপুরের নিজ গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে গেছেন। শুধু তাই-ই নয় তার সময়
মুক্তিযোদ্ধাদের বিপরীতে বাড়ি বরাদ্দে অগ্রাধিকার প্রাপ্যতা খর্বসহ সমুদয় বরাদ্দ সমূহে নয়-ছয় করার নজির স্থাপন করেন। আত্মসাৎ, অন্যায় দুর্নীতি যেন তার অপ্রতিরোধ্য ছিল। আব্দুর রহমান একক আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে অপর সহযোগী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বরাবরই কোনঠাসা করে রাখার মধ্যদিয়ে তিনি এসব পরিচালনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন তিনি বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৭নং ইদিলপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক মনোনয়নের জন্য ঢাকায় গিয়ে জোর তদবীর করেন।
উল্লেখ্য; আওয়ামী ফ্যাস্টিটের দোসর চতুর আব্দুর রহমান সম্প্রতি রংপুর বিভাগীয় পর্যায় অনৈতিক-অনিয়ম যোগসাজশের মাধ্যমে পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নতুন কমিটি অনুমোদন নিয়েছেন। আমরা পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাধারন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ যোগসাজশি উক্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান সহ ফ্যাসিস্টের দোসর চতুর আব্দুর রহমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণাসহ উক্ত কমিটি বাতিল করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।
এমতবস্থায়; অনুমোদিত উক্ত কমিটি বাতিলসহ ফ্যাস্টিটের দোসর চতুর আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী ছাড়াও কনক চন্দ্র সাহা, বাদশা মিয়া ও আব্দুল মান্নানসহ এসময় অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।