খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া-কাটাখালী নদীর ভাঙ্গনে ফুলবাড়ী ও তালুককানুপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর, শ্যামপুর-পার্বতীপুর, কড় সোহাগী, সুন্দুইলসহ চারগ্রাম এবং সুন্দুইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, কমিউনিটি কিনিক, ফসলি জমি রক্ষার্থে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ফুলবাড়ী ও তালুককানুপুর ইউনিয়নবাসীর আয়োজন শ্যামপুর-পার্বতীপুর ও সুন্দুইল গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় নদীরতীরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে ভাঙ্গন কবলিত ভুক্তভোগী পরিবার, এলাকাবাসী ও নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
ঐতিহ্যবাহি সুন্দুইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সভাপতি মেহেরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক এমএ মতিন মোল্লা, কৃষক নেতা তাজুল ইসলাম, ডা. আব্দুর রউফ, মাও. রমজান আলী, আমিরুল ইসলাম মাষ্টার, মাও. আব্দুল আজিজ, আব্দুল মজিদ সরকার বাদল ও রনি। সঞ্চালনায় ছিলেন সুন্দুইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিক হাসান ঠান্ডা।
বক্তরা বলেন, ইতোমধ্যে করতোয়া-কাটাখালী নদীর ভাঙ্গনে সুন্দুইল গুচ্ছগ্রাম টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত ফসলি জমি নদীতে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়াও ভঙ্গন আতঙ্কে এলাকার হাজারো পরিবার, ঈদগহ মাঠ, বড় রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি কিনিক ও প্রায় ২শ’ বিঘা ফসলি জমি এবং অসংখ্য গাছপালা এলাকার রক্ষায় অবিলম্বে ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী কাজ করাসহ পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্লক দিয়ে স্থায়ী কাজ করার দাবী জানান। এ বিষয়ে পনি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান এলাকাবাসীর।