খবরবাড়ি ডেস্কঃ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণ দিতে হয়েছে ইসলামপন্থীদের। ২০২১ সালে শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মুদিকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে বাংলাদেশকে ভারতে একটি অঙ্গরাজ্যে পরিনত করার নীল নকশা তৈরির চেষ্টা করেছিল। এ দেশের আলেম সমাজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করেছে। ২০১৩ সালের ৫ আগষ্ট শাপলা চত্বর রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল আলেম সমাজের বুকের তাজা রক্তে। এদেশের ছাত্র সমাজ যখন বৈষম্যহীন দেশ গঠন এবং কোটা আন্দোলনের নামে মাঠে নেমেছিল, শেখ হাসিনা সরকার তখন ছাত্রদেরকে রাজাকার বলে গালিদেন। স্বৈরাচার সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দূর্ণীতি করে কোটি কোটি টাকা আত্বসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন। এদেশের অর্থনীতির চাকা অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্বৈরাচার সরকার। শাপলা চত্বরের গণহত্যা, পিলখানা গণহত্যা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার ও খেলাফত প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে গণজারণ সৃষ্টির লক্ষ্যে শনিবার (১৯ জুলাই) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।
বাংলাদেশ খেলাফত মসলিস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি মাহমুদ আল মামুনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মসলিসের মহাসচিব মাও. জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. এনামুল হক মুসা, কেন্দ্রীয় নিবার্হী সদস্য মাও. রেজাউল করিম।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহিববুল্লাহ মুত্তালিবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস গাইবান্ধা জেলা শাখার উপদেষ্টা হাফেজ মাও. মানসুরুর রহমান খাাঁন, সভাপতি মুফতি ইউসুফ কাসেমী, সাধারন সম্পাদক মাও. শাহ আলম ফয়েজী প্রমুখ।
আল্লামা মামুনুল হক ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি অল্প দিনের মেহমান। আপনার দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপ্রিয় নির্বাচন দেয়া। এদেশের মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন। আপনার খন্ডকালিন সরকার পশ্চিমা দেশের বেহায়াপনা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইলে আপনাদের পরিনতি ভাল হবে না। পরে তিনি ত্রোয়দশ সংসদ নিবাচনের জন্য গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসেবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি মাহমুদ আল মামুনের নামসহ গাইবান্ধার ৫টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।