খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক খুচরা সার ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি অফিসারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন পিনুর মোড়ে বাদশা মিয়ার ঘর থেকে সার উদ্ধার করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন। বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। পরে জব্দকৃত সারগুলো উপজেলা কৃষি অফিসারের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ঘরের মালিককে না পাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রাশিদুল কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মিজানুর রহমান ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, যতটুকু জানি, সারগুলো বিসিআইসি ডিলার ননী গোপাল সরকার ও মৃত প্রদীপ সরকারের। তাঁদের গোডাউন সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতলা বাজারে এবং আরো একটি গোডাউন রামজীবন ইউনিয়নের ডোমের হাট বাজারে। দহবন্দ ইউনিয়নে কীভাবে সার গুলো এলো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাইবান্ধা জেলা বাফার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার ডিলার ননী গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। সার বহনকারী ট্রাকের নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো-ন ১৯-৫৯৮৫।
জানা গেছে, সারগুলো বিসিআইসি ডিলার ননী গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। এরপর ঢাকা মেট্রো-ন ১৯-৫৯৮৫ নম্বর ট্রাকযোগে এনে বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়। উদ্ধার করা সারগুলো চড়া দামে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছিল বলে গোপন তথ্যে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যাই। অবৈধভাবে মজুত করা ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। যা এখন আমার জিম্মায় রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবী, সারগুলো কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ওই ঘরে মজুদ করে রাখা হয়েছিল।
ডিলার ননী গোপাল সরকারের ছেলে রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, প্রদীপ চন্দ্র ও আমাদের বরাদ্দকৃত সার একসাথে তোলা হয়। আমাদের বরাদ্দ করা টিএসপি সার আমরা নিয়েছি এবং প্রদীপ চন্দ্রের বরাদ্দ করা টিএসপি সার তার ম্যানেজারকে দিয়েছি। বাদশা মিয়ার ঘরে কীভাবে গেল বিষয়টি প্রদীপ চন্দ্রের ম্যানেজার জয়ন্ত বাবু ভালো বলতে পারবেন।
ডিলার স্বর্গীয় প্রদীপ চন্দ্র মোদকের ম্যানেজার জয়ন্ত বলেন, অন্য কোথাও টিএসপি সার বিক্রি করা হয়নি। তবে আমার গোডাউনে জায়গা না থাকায় পার্শ্ববর্তী দহবন্দ ইউনিয়নের খুচরা সার বিক্রেতা বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়েছিল।