খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বাদল মিয়া (৪৮) তার একমাত্র পুত্রবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের। অতঃপর শশুর বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের মোংল পাড়া গ্রামের মৃত সামাদ ঘোসের ছেলে বাদল মিয়া তার একমাত্র ছেলে খলিলুর রহমান ওরফে রকি বাজিতনগর বাজারে আপ্যায়ন বেকারীতে কাজ করেন। সেখানে অতিরিক্ত কাজের চাপে প্রতিমাসে কয়েকদিন তাকে নাইট ডিউটি করতে হয়। রকির এমন কর্মব্যস্থতার সুযোগ বুঝে তার পিতা বাদল মিয়া পুত্রবধূর প্রতি কু-নজর দিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জুন রাতে রকি মিয়া ডিউটিতে থাকায় শ্বশুর বাদল মিয়া রহস্যজনক কারণে নিজের রুমে বিদ্যুতের সংযোগ থাকলেও পুত্রবধূর রুমে মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে ঘরের মধ্যে থাকা দরজাটি ঘুলিয়ে রেখে ঘুমাইতে বলে।
পুত্রবধূ শশুরের উক্ত কথা সরল বিশ্বাসে দরজা খুলেই ঘুমিয়ে পরলে ওইদিন রাত অনুমান ৩ টার সময় শ্বশুর বাদল মিয়া তার পুত্রবধূর রুমে ঢুকে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এসময় পুত্রবধূর ঘুম ভেঙে গিয়ে ডাক চিৎকার করতে থাকলে শ্বশুর বিভিন্ন ভয়ভীতিসসহ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার স্বামীর সংসার নষ্ট করার হুমকি দেয়। বাদলের ছেলে সকালে ডিউটি শেষে বাড়ীতে ফিরে আসে। তখন স্ত্রী তার স্বামীকে রাতের ঘটনা ঘুলে বলে। স্বামী তার পিতা বাদল মিয়ার কাছে শুনতে চাইলে বাদল মিয়া তার পুত্রবধূর পায়ে পরে ক্ষমা চায়। বিষয়টি বাড়ীর আশেপাশের লোকজন জানাজানি হলে এক পযার্য়ে ছেলের শশুর বাড়ীর লোকজন জানতে পায়। পরে শশুর বাড়ীর লোকজন এসে বাদলের পুত্রবধূরকে বাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
থানায় অভিযোগের কথা শুনে বাদল ও তার লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দফায় দফায় বৈঠক করতে থাকে।
এমতাবস্থায় আদালতের মামলাটি সাঘাটা থানা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রুজু করে অভিযুক্ত বাদল মিয়াকে শুক্রবার (৪ জুলাই ) বিকেলে গ্রেফতার করে।
এব্যাপারে সাঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ বাদশাহ আলমের কথা হলে তিনি জানান, আপন শশুরকতৃক পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা ঘটনায় পুত্রবধূর মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী শশুর বাদল মিয়াকে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে গাইবান্ধা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.