খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার বোনারপাড়া চৌরাস্তা মোড় থেকে কচুয়াাহাট এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার কাজ শেষ না করেই ঠিকারদার উধাও হয়েছে। এতে করে ৭ বছর ধরে এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারণসহ হাজার হাজার মানুষ। রাস্তাটির অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সংস্কার করে সড়কটি চালু করার দাবীতে অবশেষে এলাকার মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
রাস্তাটি সংস্কার কাজ দ্রুত সংস্কারের দাবীতে সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সেক্রেটারি সহকারি অধ্যাপক এনামুল হক সরকার, বীরমুক্তিযোদ্ধা আজহার আলী, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাদল, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিল, ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মৃদুল, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ, সজীব, ফেরদাউস ও ব্যবসায়ী সাবু মিয়া।
বক্তারা বলেন, প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তটি ২০১৯ সালে সংস্কার কাজ শুরু করে। কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদার রাস্তা খোড়াখুড়ি পর হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ রাস্তাাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। রাস্তাটি মেরামত না করায় প্রতিদিনি হাজার হাজার পথচারীসহ রিক্সা-ভ্যান, অটো, সিএনজি, মাইক্রোবাস চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা সদরের সাথে বিকল্প ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জানান, বোনারপাড়া-কচুয়া সড়কের মাঝে বাংলাবাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাট। কিন্তু এই সড়কটির কারণে হাটটি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। আর সীমাহীন দুর্ভোগে উপায়ন্তর না থাকায় স্থানীয়রা এই সড়কটি ব্যবহার করছে। এদিকে; এলজিইডি’র সাঘাটা উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী নয়ন রায় জানান, বৈদেশিক অর্থায়নে প্রায় ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই বোনারপাড়া-কচুয়া রাস্তাটি ২০১৯ সালে কাজ শুরু করে ঢাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরকম আরো ৪ থেকে ৫টি রাস্তা মিলে একটি প্যাকেজের অংশ হিসেবে কাজটি শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাস্তাটি খোড়াখুড়ি করে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, তৎকালীন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ঠিকাদার হওয়ায় এই সাহস দেখিয়েছেন। তবে, কাজ শেষ না করে সরে যাওযায় সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে রাস্তার ব্যয় ষ্টেটমেন্ট করে পুনরায় টেন্ডার আহবানের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় এটি যাচাইবাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। তিনি আশা করছেন দ্রুত টেন্ডার আহবান করা হবে এবং চলতি অর্থবছরেই এই সড়কের কাজ সম্পন্ন হবে।