মোঃফেরদাউছ মিয়া,পলাশবাড়ী,গাইবান্ধাঃ
‘ডিম পাড়ে হাঁস, খায় বাগডাশে’—গাইবান্ধা জেলা পরিষদের কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে যেন বাস্তবেই এই প্রবাদটির প্রতিফলন ঘটেছে। ভুয়া প্রকল্পের নামে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলেও এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও প্রশাসনের নির্লিপ্ততা জনমনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস আজ (বুধবার) মুঠোফোনে জানান, “অভিযোগটি এখনো প্রসেসিংয়ে আছে, ফাইল পুটআপ হয়েছে।”
কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জুলাই গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাভেদ হোসেন জেলা পরিষদের একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদের অফিস সহকারী ইসমাইল হোসেন বেআইনিভাবে হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন।
বিশেষভাবে আলোচিত একটি অভিযোগ হলো—১৯টি চেকের মাধ্যমে ৪,৪৭,৫০০ টাকা অজানা খাতে ব্যয়ের বিষয়টি, যা এখন জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
অভিযোগ উত্থাপনের আট দিন অতিক্রান্ত হলেও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত জানাতে পারেননি জেলা প্রশাসক এই বিষয়ে অবহিত কিনা।
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে—
কেন নীরব জেলা প্রশাসন?
কার স্বার্থে এই নীরবতা?
আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে প্রকৃত তদন্ত ও দায়ীদের জবাবদিহির জন্য?
গাইবান্ধার সচেতন নাগরিকরা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন। অন্যথায় এই নীরবতা এবং দায়সারা মনোভাব ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করবে বলেই আশঙ্কা করছেন তারা।