1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
১১ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৪ঠা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গোবিন্দগঞ্জে জাতীয় গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ পলাশবাড়ীতে সার ডিলার মা এন্টারপ্রাইজকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা যাত্রা শুরু করলো পলাশবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব, আংশিক কমিটি ঘোষণা গাইবান্ধায় দুর্গোৎসবের প্রতিমায় শেষ আঁচড় দিচ্ছেন শিল্পীরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবীতে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে জেলা জামায়াতের মতবিনিময় ফিলিস্তিনি দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ এবং যুদ্ধ বন্ধের দাবীতে পলাশবাড়ীতে মৌন র‌্যালী পলাশবাড়ীতে সার ও কীটনাশকের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গাইবান্ধায় র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার গাইবান্ধায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ পলাশবাড়ী সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে পানির ফিল্টার স্থাপন

ফুলছড়ি তদন্ত কেন্দ্র চালু না হওয়ায় আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত স্থানীয়বাসীরা

  • আপডেট হয়েছে : মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলের তিন ইউনিয়ন গজারিয়া, ফুলছড়ি ও ফজলুপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। ফুলছড়ি তদন্ত কেন্দ্রের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও দীর্ঘদিন ধরে এর কার্যক্রম চালু না হওয়ায় স্থানীয়বাসীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নদীভাঙন, দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, নানা সামাজিক সমস্যা এবং অপরাধ প্রবণতার কারণে এই চরাঞ্চল ইতোমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী পুলিশি উপস্থিতির জন্য তদন্ত কেন্দ্র চালুর দাবী জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। যদিও ভবন ও অবকাঠামো প্রস্তুত, তবুও জনবল ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অভাবে কেন্দ্রটি এখনো অকার্যকর।

স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘চরের এই এলাকায় গরু চুরি, জমি দখল, পারিবারিক বিরোধসহ নানা অপরাধ ঘটছে। এখান সপ্তাহে দু’দিন হাট হয়ে থাকে পুলিশ না থাকায় হাটের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্যোগ এই অঞ্চলের মানুষের। থানায় যেতে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। তদন্ত কেন্দ্রটি চালু হলে দ্রুত আইনী সহায়তা পাওয়া যেত।

‘একই অভিযোগ করেন গজারিয়ার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম। তারা জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এই এলাকা থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়ার পর এখানকার মানুষ বিপাকে পড়েছে। তদন্ত কেন্দ্রের জন্য প্রশাসন সকল প্রস্তুতি শেষ করলেও কোনো কারণে এখনো আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন দ্রুত এটি চালু হয়।

মাজেদুর রহমান নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তদন্ত কেন্দ্রের কার্যক্রম চালু না হওয়ায় এই বর্ষায় নদীর পানি বাড়লে চুরি-ডাকাতির ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে চরাঞ্চলসহ গজারিয়ার জনসাধারণের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা জানান, ‘তদন্ত কেন্দ্রটির কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন। আমাদের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি শেষ হলেও এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হয়নি। বিদ্যুৎ ছাড়া তো পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। তবে আমি ইতোমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের (জিএম) সাথে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, তারা অতিদ্রুত সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছেন। আশা করছি, জুলাই মাসের কোনো এক সময়ের মধ্যে আমরা তদন্ত কেন্দ্রটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করতে পারবো।’

স্থানীয়রা মনে করছেন দ্রুত তদন্ত কেন্দ্র চালু হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্যথায় চরাঞ্চলের জনগণের নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft