বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য যাদু মিয়ার (যাদু মেম্বার) বিরুদ্ধে ভিজিএফ, ভিজিডি, টিসিবি, বয়স্কভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে অসহায় ও দুস্থ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেওয়ার পরও কেউই কাঙ্ক্ষিত সরকারি সহায়তা পাননি। বরং নতুন করে আরও টাকা দাবি করা হয়েছে এবং টাকা ফেরত চাইলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
ঝাড়পাড়ার বাসিন্দা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, “যাদু মেম্বার আমার কাছ থেকে ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এখনও কোনো কার্ড পাইনি, উল্টো আরও টাকা চাইছেন।”
মোল্লা পাড়ার শুকারু জানান, তার কাছ থেকেও ৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়, কাজ হয়নি। একইভাবে জাফরপাড়ার বিধবা তনজিনা জানান, “বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার আশ্বাসে আমার কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়েছেন, কিন্তু কোনো সাড়া নেই।”
স্থানীয়রা জানান, এভাবে প্রায় শতাধিক দরিদ্র-অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন যাদু মেম্বার। কিন্তু অধিকাংশই কোনো ধরনের সরকারি সহায়তার কার্ড বা সুবিধা পাননি।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, টাকা ফেরত চাইলে যাদু মেম্বার তাদেরকে হুমকি ও অপমান করেন। তিনি নাকি প্রকাশ্যে বলেন, “টাকা খরচ করে মেম্বার হয়েছি, ফ্রিতে কার্ড দেবো না। ফ্রি খাওয়ার দিন শেষ।”
এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন—“মেম্বার যাদুর খুঁটির জোর কোথায়? কে তাকে রক্ষা করছে?”
এ বিষয়ে মেম্বার যাদু মিয়ার মোবাইল নম্বর ০১৭৩৭৮৩১৪৮৯-এ একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভোগীরা।