গাইবান্ধা জেলা বাস-মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি. নং রাজ: ৪৯৪) বৈধ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোশফেকুর রহমান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব সরকার বকুলের নেতৃত্বে পরিচালিত কমিটিকে বৈধ্য দাবী করে সহযোগিতা চেয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুল হামিদ মিটুল।
৪ জুন ২০২৫ গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া এক লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান বৈধ কার্যনির্বাহী কমিটিই সংগঠনের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছে এবং কোনো অবৈধ কমিটির তৎপরতা সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক।
সূত্র মতে, সংগঠনটি বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সংকটের মধ্যেও নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি কিছু বহিরাগত ও স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তে একটি অবৈধ কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে, যা সংগঠনের শৃঙ্খলা ও ঐক্য বিনষ্টের হুমকি সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম সারোয়ার প্রধান বিপ্লবের বিরুদ্ধে সংগঠনের অর্থ আত্মসাৎ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠায় তিনি বর্তমানে পলাতক এবং একই সময় তৎকালীন সভাপতি পদত্যাগ করায় নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দেয়।
এ প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নির্দেশে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে মোঃ আব্দুল হামিদ মিটুল ও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় রেজিষ্টার অব ট্রেড ইউনিয়নের সহকারী পরিচালক আল মুজাদিদুল ইসলাম গালিবের উপস্থিতিতে এক বিশেষ সাধারণ সভায় মো. মোশফেকুর রহমান রিপনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মো. আব্দুল মোতালেব সরকার বকুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শ্রমিকদের কণ্ঠভোটে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে ফেডারেশনের অনুমতিতে তাঁরা দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এদিকে, ২০২৫ সালের ১ জুন বহিষ্কৃত গোলাম সারোয়ার প্রধান বিপ্লবের মদদে কতিপয় ব্যক্তি একটি তথাকথিত ‘তলবি সভা’ ডেকে অবৈধ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। অভিযোগ রয়েছে, সভায় প্রকৃত শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল না। পরে সংগঠনের নামে বিভ্রান্তিকর সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।
এই ঘটনায় শ্রমিকদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। সংগঠনের ঐক্য ও শান্তি বিনষ্টের আশঙ্কা দেখা দেয়।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় ফেডারেশন জানায়, অবৈধ কমিটির যেকোনো তৎপরতার দায় সম্পূর্ণরূপে সংশ্লিষ্টদেরই নিতে হবে; এতে ফেডারেশন ও আঞ্চলিক কমিটি কোনোভাবেই দায়ভার গ্রহণ করবে না।
সংগঠনের গঠনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা ও অস্থিতিশীলতা রোধে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বৈধ কমিটির নেতৃত্বে সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখতে এবং অবৈধ তৎপরতার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।