খবরবাড়ি ডেস্কঃ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখা লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের আয়োজনে উত্ত্যক্তকরণ ও যৌননিপীড়ন বন্ধে করণীয় বিষয়ে তরুণীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) বিকেল ৪টায় জেলা কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মাহফুজা খানম মিতা, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ, লিগ্যাল এইড সম্পাদক নিয়াজ আক্তার ইয়াসমিন, জেলা সদস্য সম্পা দেব, তরুনী সদস্য মার্জিয়া ইসলাম তৈষী, তরণী সদস্য আসফিয়া ইসলাম বন্যা ও রেশমী খাতুনসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, পুরুষাধিপত্য ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত হন। নারীর প্রতিরোধের ধরণ তাদের প্রতিদিনের লড়াই। যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা আবশ্যক এবং তা এখনই শুরু করতে হবে। এখনই আওয়াজ তুলতে হবে। নারীর জন্য রুখে দাঁড়ানো ব্যতীত বিকল্প কিছু নেই। ইভটিজিং সমস্যাকে যেকোন ভাবে দমন করতে হবে। এর একটি মেয়ে মানসিক ও শারীরিক ভাবে তির স্বীকার হবার পাশাপাশি তার পরিবারকেও এ নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। ইভটিজিং বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এটা প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, নারী একজন মানুষ। তাদের সম্মান করতে হবে একজন মানুষ হিসেবেই। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। বন্ধ করতে হবে হয়রানি উত্ত্যক্তকরণ। এ লক্ষ্যে সরকার যে আইন প্রণোয়ন করেছে সে আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বখাটেদের এমন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তা দেখে অন্য বখাটেরাও শুধরে যায়। যাতে কেউ নারীকে অসম্মান করতে সাহস না পায়। সরকারের প্রনীত আইন থেকেও যেটি সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করবে নারীদের হয়রানি প্রতিরোধে সেটি হলো সচেতনতা। নারীর প্রতি হয়রানি বন্ধ করতে সর্বস্তরে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নারীকে তার অধিকার তার সম্মান রায় সচেতন হতে হবে, সাহসী হতে হবে। ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখলে চলবে না। মনে রাখতে হবে যে, তারও দিনশেষে পুরুষের পাশাপাশি সমানভাবে কাজ করে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। অধিকার আছে একজন স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে কাজ করে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার।
বক্তারা বলেন, একজন নারী আপনার মা, বোন এবং আপনার সহধর্মিণী। তাই নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানান।