খবরবড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙ্গন।
জানা যায়, উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পূর্ব বেলকা এলাকায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে তীব্র নদীভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
পূর্ব বেলকা গ্রামের মজনু, মাইদুল ও রন্জু মিয়া জানান, হঠাৎ করে গত কয়েক দিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি হলে নদী ভাঙন শুরু হয়। ইতিমধ্যে তাদের ৩ বিঘা জমি তোষাপাটসহ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে আরো রয়েছে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি।
তারা আরো বলেন, বন্যা আসলে এবং বন্যাপরবর্তি ভাঙ্গন শুরুহলে তিস্তার দুই পাড়ের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ দেখার কেউ নাই। সামন্য ত্রান বিতরণ করে দায় এড়িয়ে যান সকলে।
হরিপুর লখিয়ার পাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদী জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। একজন চরবাসীকে মৌসুমে কমপক্ষে ৩ বার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্তু আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
বেলকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লা বলেন নদী খনন, ড্রেজিং, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ কল্পে বহুবার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ভাঙন রোধে প্রাথমিক ভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে নদীপাড় মানুষের দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না। ভাঙনে প্রতিবছর শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজকুমার বিশ^াস বলেন, নদীভাঙ্গনের বিষয় আমাকে কেহই অবহিত করেনি তবে বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখছি।