গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চঞ্চলের পাশে উপজেলা নিবাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম। শিক্ষার্থীর বাড়ী উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নে।
গত ৩০ এপ্রিল দৈনিক পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘অর্থের অভাবে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত মোস্তাফিজুর রহমান চঞ্চল’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। খবরটি উপজেলা নিবাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম-এর নজরে আসলে তিনি মোস্তাফিজুর রহমান চঞ্চলের ভর্তি বিষয়ে সাহায্যে এগিয়ে আসেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম নিজস্ব কার্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী চঞ্চলের হাতে ভর্তি সংক্রান্ত আর্থিক সহয়তা প্রদান করেন।
এসময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) জসিম উদ্দিন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মাহাবুবুল আলম বসুনিয়া, সাদুল্লাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনাজ ছাড়াও সাদুল্লাপুর রিপোর্টার্স কাবের সভাপতি শহিদুল হক, দৈনিক সংগ্রামের প্রতিনিধি মো. মশিউর রহমান ও চঞ্চলের বড় ভাই মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম বলেন, শিক্ষার উন্নয়নকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। অদম্য মেধাবীদের সহায়তা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছি। আমার লক্ষ্য, অর্থের অভাবে যেন কারো লেখাপড়া বন্ধ না হয়।
এদিকে; উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চঞ্চল বলেন, ইউএনও স্যার আমার অসহায়ত্বের খবর পেয়ে আমার স্বপ্নপূরণে এদিয়ে এসেছেন। আমি খুব আনন্দিত ও গর্বিত। আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলে আমিও মানুষের পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ। এ জন্য ইউএনও স্যারের প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।