খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে প্রবল ঝড়ে শ্রেণী কক্ষের উপর গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
উপজেলা কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে ঝড়ে গাছ পড়ে ৫টি শ্রেণী কক্ষ ভেঙ্গে গেছে। এখন কলেজের শিক্ষাথীরা খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করছে। আর মাত্র কয়েক দিন মধ্যেই প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবে। এ অবস্থায় কলেজের শ্রেণী কক্ষ গুলো দ্রুত সংস্কার করা না হলে পরীক্ষা কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়ার উপক্রম।
রোববার (১৮ মে) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গত শনিবার (১৭ মে) রাতে ঝড়ে কলেজের পুরাতন টিনশেড ভবনের উপর থাকা ইউকিপটাস গাছ ভেঙে পড়ে কলেজের ৫টি শ্রেণী কক্ষ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ফলে শ্রেণী কক্ষ গুলোতে পাঠদানের পরিবেশ না থাকায় কলেজের সামনের মাঠে বেঞ্চে বসে শিক্ষার্থীরা পাঠদান নেয়া হচ্ছে। একসাথে দু’টি কাসের শিক্ষার্থীদের পাঠদান নেয়ায় শিক্ষার্থীদের হইচই-এর কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষকরাও পাঠদান দিতে হিমসিম খাচ্ছে।
কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিখা আক্তার বলেন, রাতে ঝড়ে কবলে গাছ পরে আমাদের কলেজের কয়েকটি শ্রেণী কক্ষ ভেঙে যাওয়ায় লেখাপড়া করতে হচ্ছে কলেজের মাঠে বেঞ্চে বসে। এতে করে আমাদের লেখাপড়া অনেক ক্ষতিসহ অনেকেই অমনোগী হয়ে পড়ছেন।
একাদশ শ্রেণী আরেক শিক্ষার্থী নবিউল ইসলাম জানান, আমাদের কলেজে ঝড়ে গাছ পরে শ্রেণী কক্ষ বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন বর্ষা মৌসুম কলেজ মাঠে কাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কখন যেন বৃষ্টি এসে আমাদের বই-খাতা ভিজিয়ে যায়।
কলেজের শিক্ষার্থী অভিভাবক জানান, ঝড়ে গাছ পরে কলেজটির কয়েকটি শ্রেণী কক্ষ ভেঙে পড়ায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করছেন। কলেজের শ্রেণী কক্ষ গুলো দ্রুত মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আসে।
প্রভাষক নুর আলম প্রামানিক জানান, খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে লেখাপড়ার পরিবেশ থাকে না। লেখাপড়ায় মনোযোগও নষ্ট হয়ে যায়। তাই কলেজের শ্রেণী কক্ষ গুলো দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে জরুরী পদক্ষেপ কামনা করছি। কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুব হাসান বলেন, কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গত শনিবার রাতে প্রবল ঝড়ে গাছ পড়ে কলেজের ৫টি টিনশেড শ্রেণী কক্ষ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ৭০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজের মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম বেঘাত ঘটছে।
তিনি আরো বলেন, কয়েক দিন পর হতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবে এতে করে পরীক্ষা চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে অল্প সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত শ্রেণী কক্ষ গুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়।