ধারাবাহিক প্রতিবেদন (৪)
মোঃ ফেরদাউছ মিয়া,পলাশবাড়ীঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (LGED) উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হেলালুর রহমান হেলাল-এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ, নিম্নমানের কাজ বাস্তবায়ন এবং সরকারি নীতিমালা উপেক্ষার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডির আওতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যাদেশ পছন্দের ঠিকাদারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পে কার্যাদেশ প্রদান, বিল উত্তোলন ও কাজের মান নিয়ন্ত্রণে নিয়ম লঙ্ঘন করে কাগজে-কলমে কাজ শেষ দেখিয়ে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। বাস্তবে অনেক কাজ এখনো অসম্পূর্ণ, আবার কিছু কাজ সম্পন্ন হলেও তাতে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী।
বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তা, ইউ-ড্রেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টয়লেট, অজুখানা, গেইট, শ্রেণিকক্ষ, প্যালাসাইডিং নির্মাণ এবং বেঞ্চ সরবরাহ ও মেরামতের কাজে রয়েছে বিস্তর অনিয়ম। মাঠপর্যায়ে পরিদর্শন না করেই সিভিল ওয়ার্ক সম্পন্ন দেখিয়ে সনদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ জনগণও বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত সুবিধা থেকে।
এছাড়া, বিভিন্ন স্কুলে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণেও রয়েছে অনিয়মের ছাপ। সরবরাহকৃত সামগ্রীর তালিকা ও মান যাচাই না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ করেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রকৌশলী হেলাল স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে আঁতাত করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ ভাগ করে দেন। এতে প্রকৃত যোগ্য ঠিকাদাররা বাদ পড়েন এবং নির্দিষ্ট কিছু ঠিকাদারকে বারবার কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়। এতে দুর্নীতি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এই বিষয়ে প্রকৌশলী মো. হেলালুর রহমান হেলাল এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হোক।
চলবে ……