মোঃফেরদাউছ মিয়া,পলাশবাড়ীঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের প্রতপক্ষের উপর হত্যার উদ্যেশ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় কমপক্ষে ৩জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার(৯ মে-২৫)উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেল ৫ টায় ঐ গ্রামের আব্দুল হালিমসহ ৮/১০ জনের একটি স্বসস্ত্র দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিবেশী নুর আলমের বাড়ী-ঘরে হামলা করে।
এই হামলায় কোহিনুর বেগম (৫৫)নামের এক নারী গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ।গুরুতর আহত কোহিনুরকে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতি পক্ষ হাসতাল থেকে কোহিনূরকে অপহরণের চেষ্টা করে।বর্তমানে সে বগুড়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলার প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে।
এই ঘটনায় আহত কোহিনুর বেগমের বড় ছেলে নুর আলম মন্ডল বাদী হয়ে কৃষ্ণপুরগ্রামের কাফী মন্ডলের পুত্র আশরাফ মন্ডল মেয়ে ফারজানা আক্তার সাথী, আজগর আলীর পুত্র ফজলু মন্ডল, জলু মিয়ার পুত্র জহুরুল ইসলাম এবং জহুরুল ইসলামের স্ত্রী লাভলী বেগমের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জনকে আসামী করে পলাশবাড়ী থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৯মে-২৫
মামলা নং ০৪ দায়ের। এপর্যন্ত পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার না করায় বাদীপক্ষ তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এব্যাপারে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই জুলিয়াস দাবী করেন বাদীর ধারণা অমুলক।তবে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাদী আহত কোহিনুরকে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।তিনি আরো জানান সোমবার ৩জন আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।
এই ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী ভুট্টো সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, “এব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”