মোঃফেরদাউছ মিয়া,পলাশবাড়ীঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সামাজিক বনায়নের আওতায় ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি গাছ বন কর্মকর্তার সহযোগিতায় গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ও একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এই অনিয়মের ফলে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, তেমনি প্রতারিত হচ্ছেন প্রকল্পভুক্ত গরিব উপকারভোগীরা।
জানা গেছে, সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রির নিয়ম অনুযায়ী উপকারভোগী ৫০%, সরকারের রাজস্ব ৪৫% এবং ইউনিয়ন পরিষদ পায় ৫%। তবে নিয়মিত অনুমোদন, মূল্য নির্ধারণ ও উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না।
অভিযোগ রয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা বন কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ করে লোকচক্ষুর আড়ালে অচল বা জনপ্রিয়তাহীন স্থানীয় পত্রিকায় গোপনে দরপত্র আহ্বান করে থাকেন। ফলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা দরপত্রে অংশ নিতে পারছেন না।এভাবেই চেয়ারম্যানরা তাদের ঘনিষ্ঠ লোকজনদের নিকট কম মূল্যে গাছ বিক্রি করে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বন কর্মকর্তার সহযোগিতায় একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান আরও বেশ কিছু রাস্তার গাছ গোপনে বিক্রির ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সচেতন এলাকাবাসী বলছেন, এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে গাছ বিক্রির সব দরপত্র বিজ্ঞপ্তি জাতীয় ও স্বীকৃত স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে এবং সেই বিজ্ঞপ্তির কাটিং ইউনিয়ন পরিষদসহ জনসমাগমপূর্ণ স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
এছাড়া উপকারভোগীদেরকে সচেতন করতে হবে, যাতে তারা জানেন গাছ বিক্রিতে তাদের অধিকার কতটুকু এবং কীভাবে তা আদায় করতে হবে।
এব্যাপারে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে বন কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থারও দাবি উঠেছে।
এব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা এ এইচ এম শরিফুল ইসলাম মন্ডল জানান, টেন্ডার গোপন করার কোন প্রশ্নই আসে না, তার পরও যদি এরকম কোন অনাকঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে সেটার সাথে বন বিভাগের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। টেন্ডার কমিটির আহবায়ক যেহেতু সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবে।