খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তিলক চাঁন (৪৫) নামে এক গ্রাম পুলিশ বন্ধুর বউকে ভাগিয়ে এনে প্রায় দুই বছর ধরে লাগাতর ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই নারী তিলক চাঁনকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে একটি অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত তিলক চাঁন উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ পদে কর্মরত। তিনি অত্র ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামের রামপতি রবিদাসের পুত্র।
জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খাসতালুক গ্রামের গনেশের পুত্র ভীম বাবুর বন্ধু হন গ্রাম পুলিশ তিলক চাঁন। সেই সুবাদে তিলক মাঝেমধ্যেই ভীম বাবুর বাড়ীতে যাতাযাতের এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে পটিয়ে ফেলেন।
এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের ৯ জুন মধ্যরাতে ভীম বাবুর স্ত্রীর হাত ধরে অজানা উদ্দেশ্যে পারি জমান তিলক। পরে তিনি উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুঞ্জ নাকাই গ্রামের হায়দার আলীর বাসা ভড়ায় নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন।
ওই নারী জানান, সেই থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে তাকে বিয়ে না করেই তার সাথে ঘর-সংসার করে আসছেন তিলক। একাধিকবার তাকে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে ও রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ দিয়েও লাভ হয়নি। বরং মেয়েটিকে উল্টে মারধরসহ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বিয়ের নামে তালবাহনা ও ব্লাকমেইলিং করে মাসের পর মাস ধরে তাকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে তিলক জানান, ২০২৩ সালের ১১ জুন ঢাকা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিবাহের চুক্তিনামা সম্পাদনা করা হয়। মন্দিরে গিয়ে বিয়ে ও রেজিস্ট্রি করা না হলেও ওই চুক্তিনামা অনুযায়ি ঘর-সংসার করা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।