খবরবাড়ি ডেস্কঃ প্রভাবশালী শফিকুল ইসলামের অত্যাচার ও হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অসহায় সংখ্যালঘু হেমন্ত চন্দ্র বর্মনের পরিবার। জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার দাবীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে গাইবান্ধা প্রেস কাবের সামনে মানবন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ঝাপড় গ্রামের হেমন্ত চন্দ্র বর্মণ ওরফে কালিয়া সাধু প্রায় ১৫ বছর আগে একই গ্রামের শফিকুল ইসলামসহ ৯ জনের কাছে ৫০ শতক জমি বিক্রি করেন। এরপর থেকে ক্রেতারা জমি ভোগদখল করছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মৃত একাব্বর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘু হেমন্ত চন্দ্র বর্মণের বাড়িঘর ও সম্পদ দখলের পাঁয়তারা করতে থাকে। এরই জেরে তিনি তার পরিবারের ওপর অত্যাচার শুরু করে। শফিকুল ইসলাম ও তার লোকজনের বাঁধা ও হুমকির মুখে হেমন্ত চন্দ্র চলতি বছর ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে পারেননি। এছাড়াও হুমকির কারণে তিনি পানের বরজ ও কলা বাগানের ফসল ভোগ করতে পারছেন না। উপরন্তু গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শফিকুল ও তার পালিত দুর্বৃত্ত বাহিনী হেমন্ত চন্দ্রের বাড়িতে আক্রমণ করে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতিসহ মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও গরুসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থানায় মামলা করতে যান ভুক্তভোগী হেমন্ত চন্দ্র বর্মণ। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তার মামলাটি গ্রহণ না করে উল্টো প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করে। বর্তমানে শফিকুল ইসলামের হুমকিতে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে হেমন্ত চন্দ্রের পরিবার। সংবাদ সম্মেলন শেষে ভুক্তভোগী পরিবারের মহিলা ও শিশুসহ লোকজন প্রেস কাবের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৈতন্য চন্দ্র, আলতু চন্দ্র, লালু চন্দ্র, পরিমল চন্দ্র, বিনয় চন্দ্র, নিম বাবু, প্রতিমা রাণী, রিতু রাণী, ববিতা রাণী, সুমনা রাণী, উষা রাণী ও মালতি রাণী।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুলফিকার আলী ভূট্টোর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের পক্ষ অবলম্বন করে বলেন, হেমন্ত চন্দ্র বর্মণের লোকজনই আগে শফিকুলকে আক্রমণ করেছে। তবে দুই পক্ষেরই মামলা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।