খবরবাড়ি ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে জেলা জামায়াতে ইসলামী কার্যালয় মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য জেলা আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাও. জহুরুল হক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাও. আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার। সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর আব্দুল ওয়ারেছ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সহকারি সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও মো. ফয়সাল কবির, জেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাও. নজরুল ইসলাম লেবু, সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মাও. সাইদুর রহমান, খাইরুল আমিন, অধ্যাপক ফেরদৌস আলম ফিরোজসহ উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ, মহিলা বিভাগীয় জেলা কর্মপরিষদ ও শূরার সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো. ফেরদৌস সরকার রুম্মান, সেক্রেটারি শাওন হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি মাও. আবদুল হালিম বলেন, গাজা সবসময় অপরাজেয়। কারণ গাজাবাসীরা কুরআনের সঙ্গী ও কুরআনের যোদ্ধা। তারা ভয়কে জয় করেই নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস করছে। তাদেরকে জন্মভূমি ত্যাগ করার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদান করা হলেও আল্লাহর ফয়সালার অপেক্ষায় সেখানেই রয়েছে গেছেন। মূলতঃ বিশ্বের সকল মা-ই জন্ম দেন সন্তান। কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা। তাই গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে জায়নবাদীরা একদিন পরাভূত হবে। গাজায় ইসরাইলী বর্বর ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে একসাথে দাঁড়াতে হবে। তাই এ নির্মমতা দেখে কারো পক্ষে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং যার যতটুকু সামর্থ আছে তা নিয়েই এসব মজলুম ভাইবোনদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি আরা বলেন, সমাজে অস্থিরতা ও অশান্তি বিরাজমান। মূলত ব্যক্তি-সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআনের বিধান বাস্তবায়ন করা গেলে মানুষের কল্যান ও মুক্তি লাভ করা সম্ভব হবে। দেশের সকল নাগরিক সমাজে তার অধিকার ভোগ করবে। কেউ কারো হক্ব নষ্ট করার দুঃসাহস করবে না। থাকবে না মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য। সমাজে কোন দূর্ণীতি, দুঃশাসন, অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানী থাকবে না। রাষ্ট্রই সকল নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। জামায়াত সে স্বপ্নের ইনসাফপুর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি দেশে কুরআনের বিধান বিজয়ী ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন। সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জন করে আগামী দিনে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম জোরদার করে সাংগঠনিক শক্তি ও সংগঠনকে গণমূখী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার শিক্ষাকে ধারণ করে সবধরনের লোভ লালসার উর্ধে উঠে সৎ লোকের শাসন কায়েমে নেতিক শক্তি দিয়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবেলায় দৃঢ় ভূমিকা পালনের জন্য উপস্থিত দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।