খবরবাড়ি ডেস্কঃ চলতি এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে ৭ শিক্ষকসহ ১ কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেইসাথে ৩ পরীক্ষা কেন্দ্রে অসাদুপায় অবলন্বের দায়ে ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, সোমবার এসএসসি গণিত বিষয়ের পরীক্ষা শেষে গোবিন্দগঞ্জ বিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৯ নম্বর কক্ষে খাতা জমা নেয়ার সময় একটি খাতা কম পাওয়া যায়। খাতা যাচাই কালে দেখা যায় রোল নং- ৮১৯৯৭৪ এর পরীক্ষার্থী রেজওয়ান প্রধানের খাতা নেই। তাৎক্ষনিক এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
১৯ নম্বর কক্ষে ডিউটিরত অবস্থায় খাতা হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগে কালিতলা এসএন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, কোচাশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরেশ চন্দ্র বর্মন, বর্ধনকুঠি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান ও নুরুন নবীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এছাড়াও গণিত বিষয়ের শিক্ষক হয়েও তথ্য গোপন করে গণিত পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করার অভিযোগে বগুলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইবনে কাওসার, ওয়াহেদা সুলতানা ও সরদারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জমশেদ আলীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জ বিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রে সচিব ননী গোপাল রায়কেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ওই ৩ শিক্ষক গণিত বিষয়ের শিক্ষক তা জানা ছিল না। তারা তথ্য গোপন করে দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
এদিকে; অসাদুপয় অবলম্বনের দায়ে উপজেলার নাকাইহাট পরীক্ষা কেন্দ্রে আখিতারা আক্তার, কামদিয়া দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে অনন্ত চন্দ্র বর্মন, পিয়ারাপুর আইজিএম স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে রনবীর রুপক, আরাফাত জমাদার, ইমরান হোসাইন নামে ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, পরীক্ষায় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করণ এবং অনিয়ম সমূহ বন্ধে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।