খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ এর আন্তরিকতায় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার ২৫ জন শিল্পীকে গুণীজন সম্মাননা প্রদান মাধ্যমে চমৎকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যন্ত্রসংগীত, চারুকলা, নৃত্যকলা, আবৃত্তি, আঞ্চলিক সৃজনশীল সংগঠন, যাত্রাশিল্প, লোকসংস্কৃতি, কণ্ঠসংগীত, ফটোগ্রাফী, চলচ্চিত্র, সৃজনশীল সংস্কৃতি গবেষক, নাট্যকলায় বিশেষ অবদান রাখায় গাইবান্ধায় ২৫ জন বিভিন্ন শিল্পীকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি গুণীজন সম্মাননা হিসেবে ফুল, উত্তরীয়, মেডেল ও সম্মানি অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়। সম্মাননা প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী ও সংস্কৃতিজন ফাতেমা-তুজ-জোহরা। এসময় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আসাদুজ্জামান সরকার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পীরা আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে নৃত্য পরিবেশন করে এবং গানের তালে তালে অতিথিদের মঞ্চে নিয়ে যায়। পরে প্রধান অতিথিকে উত্তরীয় পরিধান করান গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।
সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যাক্তিরা হলেন-২০২০ সালের মনোনীত গুনীজনের মধ্যে যন্ত্রসংগীতে মো. আসাদুজ্জামান খান, চারুকলায় শেখ মাজেদুল আবেদীন অপু, নৃত্যকলায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির নৃত্য প্রশিক্ষক স্বপন কুমার সাহা, আবৃত্তিতে একেএম রশিদুন্নবী পিটু, আঞ্চলিক সৃজনশীল সংগঠক পদক্ষেপ গাইবান্ধার আলাল আহমেদ। ২০২১ সালের গুনীজনের মধ্যে নৃত্যকলায় রহিমা খানম ঝুমুর, যন্ত্রসংগীত জাকির হোসেন খান, যাত্রাশিল্পয় মো. ময়নুল হোসেন, লোকসংস্কৃতিতে ফজলুর রহমান (ফজলু বয়াতী), চারুকলায় শেখ জিয়াউল করিম টিপু। ২০২২ সালের গুনীজনরা হলেন কণ্ঠসংগীত রফিকুল হাসান স্বপন চৌধুরী, লোকসংস্কৃতিতে দেওয়ান দরছ আলী, চারুকলায় রেজাউল আমিন আনিছ, যন্ত্রসংগীতে তোজাম্মেল হক সরকার, আঞ্চলিক সৃজনশীল সংগঠনের দাড়িয়াপুর রফিকা গীতি সংস্থা দুলাল সরকার দোলন। ২০২৩ সালের গুণীজনরা হলেন নৃত্যকলায় সিরাজুল ইসলাম সোনা, লোকসংস্কৃতিতে বিষ্ণু কুমার, ফটোগ্রাফিতে প্রবীন ফটো শিল্পী আশীষ কুমার সরকার, যাত্রাশিল্পয় আবু বকর সিদ্দিক, আবৃত্তিতে গৌতমাশিষ গুহ সরকার। ২০২৪ সালের গুনীজনরা হলেন চলচ্চিত্র শিল্পী ডা. এজাজুল ইসলাম, কণ্ঠসংগীত মোকাদেচ্ছুর রহমান (খাজা সুজন), সৃজনশীল সংস্কৃতি গবেষক ড. আতাউর রহমান, নাট্যকলায় মোহাম্মদ আমিন, আঞ্চলিক সৃজনশীল সংগঠন, গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (গানাসাস) সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হানিফ বেলাল। অনুষ্ঠানটিতে সঞ্চালনায় ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠক শিরীন আক্তার এবং শফিকুল ইসলাম রুবেল।