খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধায় ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও ভাংচুর বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইটভাটা মালিক-শ্রমিকেরা। কর্মসূচি শেষে এসব দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি, গাইবান্ধা জেলা শাখার ব্যানারে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে জেলার ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা অংশ নেয়। তারা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে সমাবেশে মিলিত হন। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।
স্মারকলিপি প্রদান পূর্ব জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেসার্স এবিডি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী আকতার আমিন বাবলা, ফ্রেন্ডস্ ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী খাদেমুল ইসলাম জুয়েল, এমএসবি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী নওশের আলম ও আনোয়ারুল কাদির ফুল মিয়া প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধাসহ সারাদেশে ইট ভাটা মালিকরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের হয়রানির শিকার। এই খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। অথচ নানা অজুহাতে ইট ভাটাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। তারা অবিলম্বে হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, পূর্বে ইট ভাটার দুষণমাত্রা ছিল ৫৮ শতাংশ, বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে ৫ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। বিদ্যমান। জিগজাগ ইটভাটায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দুষণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। উপরন্তু ইটভাটায় কর্মরত ৫০ লাখ শ্রমিক ২ কোটি মানুষের রুটি রুজির সংস্থান করছে। এছাড়াও ইট ভাটা থেকে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হচ্ছে। কিন্তু হাঁটা ভাটা মালিকদের মাঝে মাঝেই হয়রানি করা হয়, ইট ভাটা ভেঙে দিয়ে জরিমানা করা
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ান হাসান অভ্যন্ত আন্তরিক হলেও বর্তমানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জিগজ্যাগ ইট ভাটার সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। ইট ভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা, ইট ভাটায় হয়রানি ও মোবাইল কোর্ট বন্ধ, মাটি কাটার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল, ইটভাটা পরিচালনায় মেয়াদী পুর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্সাসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় প্রস্ততকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক বিধান করার উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানানো হয়।