স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টিস্ট টেকনিশিয়ান প্রতাপ কর্মকারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার(১৮ ফেব্রুয়ারী, ২৫) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতাপ কর্মকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহের জন্য তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে, তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের পক্ষ থেকে তার(প্রতাপ) কাছে তথ্য চাওয়া হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রোগী দেখা বাদ দিয়ে চেম্বারের বাইরে চলে যান। তারপর আর তাকে চেম্বারে পাওয়া আর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, প্রতাপ কর্মকার দীর্ঘদিন ধরে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেন্টিস্ট টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে অসদাচারণ, দেরীতে কর্মস্থলে উপস্থিতসহ ঔষধ কোম্পানী সমূহের নিকট থেকে বিশেষ সম্মানী ভাতা গ্রহণপূর্বক অপ্রয়োজনীয় ঔষধ প্রেসক্রাইব করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, “প্রতাপ কর্মকার আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। তার মধ্যে রোগীকে ভাবে দেখার আন্তরিকতা কম।”
অপর একজন রোগী জানানা, আমি কাউন্টার থেকে এক ঘন্টা আগে স্লিপ নিয়ে তার চেম্বারের সামনে বসে থাকলেও তার দেখা পাইনি। এভাবে চললে আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়।”
অন্য আর একটি অভিযোগে জানা যায়, প্রতাপ কর্মকার ঔষধ কোম্পানীগুলোর টাকা খেয়ে তাদের প্রোডাক্ট লিখে থাকেন। এই ব্যাপারে কয়েকজন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, ” মিঃ প্রতাপ টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। আমরা যারা ওনাকে টাকা দিতে পারি নাই তাদের শত অনুরোধের পরেও তিনি একটি প্রোডাক্টও লিখে দেন না।”
বিগত কয়েক দিনের ধারাবাহিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে প্রতাপ কর্মকার তার ইচ্ছামাফিক কর্মস্থলে আসেন এবং চলে যান। অনুসন্ধানে দেখা যায় তিনি ১০.৩০ পর হাসপাতালে আসেন এবং ১২.৩০ মিনিটের আগেই কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
এই ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শিমুল তালুকদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, “প্রতাপ কর্মকার দেরীতে কর্মস্থলে আসেন এবং তাড়াতাড়ি চলে যান মর্মে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।” এই ব্যাপারে তাকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়টি নিয়ে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম সরকারের কাছে মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান, একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী পেশাদার সাংবাদিকের সাথে কোনো ভাবেই অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অধিকার রাখেন না। তার এই অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।