
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হলো জুলাই স্মৃতি উদ্যান উদ্বোধন। অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “বাংলাদেশে যেন আর কখনোই ফ্যাসিবাদ ফিরতে না পারে।” তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্ম যেন এ উদ্যানে এসে শহীদদের ত্যাগের কথা মনে রাখতে পারে। উপদেষ্টা শহীদদের স্মরণে বলেন, “যারা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে এবং গত সাড়ে ১৫ বছরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তাদেরও সম্মান জানানো উচিত।”
তিনি আরও জানান, শহীদদের তালিকা এবং সম্মান তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। “শহীদরা শহীদ, তাদের সম্মান দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।” চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দৃশ্যমান করার কাজ মেয়র সাহেবরা করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শহীদদের সম্মান বজায় রাখতে আন্ডারপাসের কাজও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কর্মকর্তাগণ এবং জনগণ, যারা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে উদ্যানে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, উদ্যানের জায়গা সবার জন্য উন্মুক্ত, কোনো গোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বজায় রাখতে হবে যেন মানুষ যেতে পারে, সেই কাজগুলো আমরা চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ সবার সহযোগিতায় এটা বাস্তবায়িত হবে। বড় বিষয় হচ্ছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা। এটি আমাদের নজরে আছে। জলাবদ্ধতা থেকে যেন মানুষ মুক্তি পায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। মেয়র, সিডিএ, ডিসি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ হচ্ছে।
সেখানে উপস্থিত চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, পাঁচলাইশে ঐতিহ্যবাহী পার্ক, আমরা একসময় জাতিসংঘ পার্ক নামে চিনতাম। শৈশব এখানে কেটেছে। এটি নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। আমি মনে করি এটার দায়িত্ব চসিক, সিডিএ, জেলাপ্রশাসন, আমাদের নিতে হবে। একসময় আমাদের সমন্বয় ছিল না। এখন একসঙ্গে মিলে কাজ করছি। একসঙ্গে চট্টগ্রামকে সাজাতে চাই। সব কিছু জনগণের জন্য আমরা করতে চাই। পতেঙ্গাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র করতে চাই। সময় লাগবে। আমরা আশা করছি, আমাদের মধ্যে যে সমন্বয় আছে এটার মাধ্যমে কাজ করতে পারলে চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি করতে পারবো।
এর আগে, উপদেষ্টা পতেঙ্গায় শহীদ ওয়াসিম আকরাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।