
শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও হিমশীতল বাতাসে শীতে তীব্রতা বেড়েছে উত্তরের প্রবেশদ্বার গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায়। আজ তিন দিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশা। এতে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে উপজেলার জনজীবন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সারা দিন পেরিয়ে গেলেও দেখা মেলেনি সূর্যের। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় মিলছে না সূর্যের দেখা, উপজেলার মানুষের জনজীবন কাবু করে দিচ্ছে শীত। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথেঘাটে। শীতের তীব্রতায় বেশি কষ্টে নিম্নআয়ের মানুষগুলো। বিশেষ করে উপজেলার নদী,খালবিল ও খোলা এলাকার মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। এসব অঞ্চলের শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত রোগে। লোকজন দিনের বেলায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেশি। দেখা মিলছে না সূর্যের। বোরো ধানের জন্য জমি তৈরি করছি, কাজের জন্য কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার মনোহরপর ইউনিয়নের কাজিরবাজার এলাকার মৃত মাহাফুজার রহমানের ছেলে জুয়েল মিয়া(৫৫) ঠান্ডা জনিত রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জানুয়ারি রোজ শুক্রবার গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেন।