গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
‘বিগত ১০ মাসে যতবারই জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। ততবারই গাইবান্ধার বালাসী থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশে টানেল নির্মাণসহ গাইবান্ধায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, নদী ভাঙনে স্থায়ী ব্যবস্থা এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জোরালো বক্তব্য দিয়েছি। এবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে টানেল নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আমার প্রথম কাজ। কারণ টানেল হলে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর কাছাকাছি আসবে রাজধানী ঢাকা শহর।
শনিবার উঠান বৈঠকে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহামুদ হাসান রিটন ভোটারদের উদ্দেশ্যে এসব প্রতিশ্রুতি দেন। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এরআগে মুক্তিনগর বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা চালান চলতি বছরের ৪ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহামুদ হাসান রিপন। তিনি ভোট চাওয়ার পাশাপাশি দো’আ চান। নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদিন গণসংযোগ চালাচ্ছেন। ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি এবং ফসলের জমিতে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে দেখা করছেন। ভোটার এবং কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। মাহামুদ হাসান বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। আশা করি ৭ জানুয়ারি ভোটাররা নৌকা মার্কার প্রার্থীকে অবশ্যই বিজয়ী করবেন।’
এদিকে; শীত উপেক্ষা করে চায়ের স্টলে চলছে ভোট নিয়ে আড্ডা। চলছে প্রার্থীদের মাইকিং। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা এলাকা।
স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণায় নৌকার প্রার্থী রিপন এগিয়ে আছেন। নৌকা সমর্থিত নেতাকর্মীরা জানান, মাহমুদ হাসান ২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ সুবাদে দুই উপজেলার তরুণ ও যুব সমাজের মধ্যে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তারা নির্বাচনে তাঁর পক্ষে কাজ করছেন। মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী সরব থাকলেও লাঙ্গলের তেমন প্রচারণা নেই। ফলে নৌকা ও ফারজানার মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে স্থানীয় ভাবে আলোচনা হচ্ছে। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৬জন প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির (জাপা) আতাউর রহমান, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফারুক মিয়া, স্বতন্ত্র ফারজানা রাব্বী ও শামছুল আলম।
এসব বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালেব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে দুই উপজেলা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। চরাঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার থাকবে। নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে।