
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রতিবেশিদের পূর্ব পুরুষের যাতায়াতের রাস্তা প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের উজিরের পাড়া (পাথারেবাড়ী) গ্রামের মৃত-রমজান আলীর ছেলে প্রভাবশালী আব্দুল জলিল মিয়া (৫০) ও জালাল উদ্দিন (৫৫)-এর বাড়ীর উঠান দিয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশি ৩৫টি পরিবারের লোকজন ও তাদের পূর্ব পূরুষেরা সরকারি কোন রাস্তা না থাকায় জন্মলগ্ন থেকে তাদের জায়গা ব্যবহার করে যাতায়াত করে আসছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা তাদের বাড়ীর উঠানের জায়গা হঠাৎ করে রোজার আগে প্রভাবশালী দু’ভাই জলিল ও জালাল ইট দিয়ে প্রাচীর নির্মান শুরু করে। এতে প্রতিবেশিরা একটি ভ্যান যাওয়ার জন্য যাতায়াতের জায়গা চেয়ে তাদের কাজে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে শালামারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে বিষয়টি জানায়।
চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান ওই ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট ইউ’পি সদস্য সনজীব হোসেন পলাশসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে অসহায় ৩৫টি পরিবারের লোকজনের যাতায়াতের জন্য রাস্তা ছাড়ার অনুরোধ করে প্রভাবশালী দু’ভাইকে। কিন্তু তারা কোন ভাবেই প্রতিবেশিদের যাতায়াতের রাস্তার জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চায় না। প্রতিবেশিদের সুবিধার্থে চেয়ারম্যান ও এলাকার লোকজন তাদের বাড়ীর উঠান দিয়ে যাতায়াতের জন্য একটি ভ্যানের রাস্তা টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতেও তারা রাস্তার জায়গা ছাড়তে নারাজ।
ওই জায়গা দিয়ে চলাচলরত প্রতিবেশি এনছের আলী (৬০), গোলাম হোসেন (৬৫), তোফাজ্জল হোসেন (৬৬) জানান, জলিল ও জালালের দাদা এবং বাবা বেঁচে থাকাকালিন কোন দিন প্রতিবেশিদের তাদের জায়গার উপর দিয়ে যাতায়াতে বাঁধা-বিঘœ সৃষ্টি করে নাই। তাদের সাথে প্রতিবেশিদের কোন দ্বন্দ নেই। হঠাৎ করে তাদের জায়গা ব্যবহার করা যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা প্রতিবেশিরা বিপাকে পড়েছি। বিকল্প কোন রাস্তা নেই বাড়ী থেকে বের হয়ে হাট-বাজার ও ফসলি মাঠে কাজ করতে যাওয়ার।
জায়গার মালিক আব্দুল জলিল মিয়ার সাথে কথা হলে, তিনি জানান, একজন মানুষ যেতে পারবে, এর চাইতে বেশি জায়গা তারা ছাড়তে পারবে না।
শালমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, আমি সর্বাতœক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ওই গ্রামের ৩৫টি পরিবারের যাতায়াতের জন্য জলিল ও জালালের কাছ থেকে রাস্তা বের করে দেওয়ার। কিন্তু তারা রাস্তার জায়গা ছাড়তে এখনও অনঢ় রয়েছে।
তবে ভুক্তভোগি ওইসব পরিবার জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।