
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের সক্রিয় ৫ সদস্য গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় ৫টি গরু এবং গরু বহনকারী একটি পিকআপও উদ্ধার করে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পলাশবাড়ী থানা ভবন মিলনায়তনে প্রেস কনফারেন্স করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, এ জেলায় অপরাধ রোধকল্পে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ রাত্রি সাড়ে ৪টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার দুবলাগাড়ী মৌজাস্থ জনৈক খাজা মিয়ার বাড়ীর পশ্চিমপার্শ্বে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা এলাকা থেকে রংপুরগামী গরু বোঝাই একটি পিক-আপ আটক করে থানা পুলিশ। পরে আটককৃত পিক-আপে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে তাদের আবারো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা গরু চুরির বিষয়টা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদ তারা জানান, তাদের পেশা-নেশা হিসেবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গরু চুরি করে বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদে তারাসহ এ ঘটনার সাথে জড়িত আরো কয়েকজন রয়েছে বলে জানান।
আটককৃতরা হলেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার উত্তর সাবদিন মরিচাপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আল-আমিন (২৪), একই উপজেলার সুলতানপুর বাড়াইপাড়া গ্রামের সাইদুলের ছেলে মোনারুল ইসলাম (২২), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাশদহ গ্রামের শামছুল মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া (২৮), লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার বাঁশদহ গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া (২৭) ও টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই রনারচালা গ্রামের শামছুল দেওয়ানের ছেলে রাসেল দেওয়ান (৩২)। উদ্ধারকৃত গরুগুলোর মধ্যে দু’টি গাভী, একটি আড়িয়া, বাছুর গরু দু’টিসহ একটি সাদা রংয়ের পিকআপ (যার নম্বর-ঢাকা-মেট্রো-ন-১৯-৮৩৪৬)। গরু গুলোর আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ টাকা এবং পিকআপটির মূল্য ১৫ লাখ। এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা (নং-০৮, তাং- ১০/০২/২০২৩) রুজু করা হয়েছে।
প্রেস কনফারেন্সে সহকারি পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, টিআই (প্রশাসন) মো. নুর আলম সিদ্দিক, এসআই শফিকুল ইসলাম ছাড়াও থানা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।