
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে বদলির আবেদনের সময়সীমা বাড়াল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বদলির আবেদন করা যাবে।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এখন নতুন করে আরও ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমার সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।এতে বলা হয়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের শিক্ষকদের একই উপজেলার মধ্যে অনলাইন বদলি কার্যক্রম চালু হয়েছে। বদলি কার্যক্রমে শিক্ষকেরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় একই উপজেলার মধ্য অনলাইন বদলির আবেদনের সময়সীমা আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
অনলাইনে বদলি যেভাবে, নতুন নিয়মানুযায়ী, বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষক প্রথমে অনলাইনে বদলির আবেদন করবেন। আবেদনটি প্রাথমিকভাবে অনলাইনেই যাচাই করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঠাবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। উপজেলা কর্মকর্তা অনলাইনেই যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে পাঠিয়ে দেবেন আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। ডিপিইওর সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা কর্মকর্তা বদলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন। এরপর সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাঁর আবেদনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনলাইনেই জেনে যাবেন।
তিন ধাপের এই যাচাইয়ে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন দিন করে সময় পাবেন। এই তিন দিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে।
সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর। এর আগে গত ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) উদ্বোধন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।