নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা গোটা লন্ডন। রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেশটিতে স্মরণকালের সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে লন্ডন পুলিশ। এ মহাযজ্ঞে সম্পৃক্ত দশ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা। সঙ্গে থাকছেন দেশটির ৪৩টি নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরাও।
নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল লন্ডনে প্রতিটি ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে পরীক্ষা করে দেখার পর আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সব এলাকায় চালানো হয়েছে চিরুনি অভিযান। সাময়িকভাবে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। আর তাই নিরাপত্তার বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে লন্ডনের নগর প্রশাসনও। রানির অন্তিমযাত্রার আনুষ্ঠানিকতার জন্য বদলে গেছে লন্ডনের চিত্র। গেল অলিম্পিক আয়োজনের সময়েও এমন নিরাপত্তা বলয় দেখেনি ব্রিটেনবাসী। আন্তর্জাতিক সব গোয়েন্দা সংস্থারও নিশ্ছিদ্র নজরদারি এখন লন্ডনে।
এদিকে রানির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ওয়েস্টমিনস্টার হলমুখী হাজারো মানুষের ঢল। বেড়েই চলছে জনসমাগম।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে রানিকে সমাহিত করা হবে। এর আগে বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যানুষ্ঠান শুরুর আগে এদিন সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে দিনের প্রথম শোকযাত্রা শুরু হয়। রানির কফিন নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে যাত্রা করেন স্টেট গান ক্যারেজের নাবিকরা। তাদের পেছনে ছিলেন রাজা চার্লস এবং রাজপরিবারের অন্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
গত ৮ সেপ্টেম্বর বালমোরালে মৃত্যু হয় ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। এরপর সেখান থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হল পর্যন্ত ৯ দিনের যাত্রা শেষে অবশেষে চূড়ান্ত গন্তব্যের পথে যাচ্ছেন রানি। ব্রিটেনে এ ধরনের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য সবশেষ হয়েছিল ৬০ বছর আগে উইনস্টন চার্চিলের ক্ষেত্রে।