কোভিড ১৯ মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশ সফলতা দেখিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন ফিজিশিয়ানস (বিএসএ-সিসিপিপি) আয়োজিত ব্যথা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আগে থেকে ধারণ করা ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনা করে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে, মহামারীর কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা যাবে। তবে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বিত ও সময়োপযোগী প্রচেষ্টায় সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
মহামারীকালে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোভিড ১৯ মহামারী চলাকালীন আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে অ্যানেস্থেসিয়াতে ৪০৯ জন জুনিয়র পরামর্শদাতা, ২০০০ ডাক্তার ও ৫,০০০ নার্স বিশেষ নিয়োগ দিয়েছি ।
মানুষ বিভিন্ন কারণে ব্যথাজনিত রোগে ভোগে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী যাই হোক না কেন তাৎক্ষণিক উপশম চাই। “ব্যথার ওষুধ উন্নত বিশ্বে অ্যানেস্থেসিওলজির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাব-স্পেশালিটি হয়ে উঠেছে। বিএসএ-সিসিপিপি বাংলাদেশে অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের অধীনে এই সাব-স্পেশালিটি তৈরি করার চেষ্টা করছে । তিনি বলেন, ব্যথার সফল নিয়ন্ত্রণ চিকিৎসার প্রধান দিক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যথা ব্যবস্থাপনায় ন্যানো প্রযুক্তির অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। কখনও কখনও হস্তক্ষেপমূলক ব্যথা ব্যবস্থাপনার এ নতুন কৌশল প্রয়োগকারী রোগীদের জন্য অস্ত্রোপচার এড়ানো যায়।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। বর্তমানে দেশে পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৬টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। গত এক দশকে সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বেসরকারি খাতে দেশে প্রচুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে ৩০টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।